শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আমের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকার পরামর্শ কৃষিমন্ত্রীর বড়াল নদের উপর ব্রীজ নির্মান স্থান পরিদর্শন করেন যুগ্ম সচিব পবায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠান ইসলামী নার্সিং কোচিং সেন্টারের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা রাজশাহীতে গ্রীষ্মকালীন কারুশিল্প উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন অংকের হিসাব লাগে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত : আব্দুল ওয়াদুদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

বাঘা পৌরসভা মেয়রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় কাউন্সিলরের ভাতা বন্ধ!

Paris
Update : শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা : রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার মেয়র আব্দুর রাজ্জাকের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করায় পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম টগরের ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে গতকাল বৃহষ্পতিবার সাইফুল ইসলাম জেলা প্রশাসক রাজশাহী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বাঘা পৌরসভার বর্তমান মেয়র আব্দুর রাজ্জাক দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন হাট বাজারের ইজারার টাকা, পৌর মার্কেট বরাদ্দের টাকা, পৌরসভার শোভাবর্ধনের নামে ভুয়া ভাওচারের মাধ্যমে টাকা, জন্ম নিবন্ধন সনদ, ওয়ারিশন সনদ ইত্যাদির নির্ধারিত সরকারি চার্জের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে মেয়র আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়াও অবৈধ পন্থায় পৌরসভায় ১০টি পদে নিয়োগ প্রদানের চেষ্টা করে চাকুরী প্রত্যাশীদের নিকট থেকে বিপুল পরিমানে অর্থ নেয়া, পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে ঠিকাদারদের কাছ থেকে অবৈধ কমিশন নেওয়ার কারনে কাজ নিম্নমান হওয়া, ইত্যাদি নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের কারনে মেয়র আব্দুর রাজ্জাক এর বিরুদ্ধে তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম গত বছরের নভেম্বর মাসে রাজশাহী জেলা জর্জ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি বর্তমানে আপিল বিভাগে চলমান রয়েছে। এসকল ঘটনার পর মেয়র রাজ্জাক অন্যায়ভাবে অভিযোগকারী কাউন্সিলরের গত ৪ মাসের ভাতা বন্ধ করে রেখেছেন। তাকে মাসিক মিটিং এ উপস্থিত হতে দেওয়া হয় না। এমনকি তার ওয়ার্ডে পৌসভার সকল ধরনের নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমানে এই ওয়ার্ডে ভিজিএফ কার্ড, ভিজিডি কার্ড বিতরণ, কৃষকদের কৃষি প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ ও উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ আছে।

সর্বোপরি কোভিড-১৯ করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার প্রণোদনার অর্থ প্রদানে কাউন্সিলরকে বাদ রেখেই তালিকা প্রনয়ন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ভুক্তভূগী কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেই সুবাদে বিগত পৌর নির্বাচনে জনগন আমাকে বিপুল ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছেন।

কিন্তু দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই দেখছি, জামাত বিএনপি সমর্থক মেয়র রাজ্জাক বাঘা পৌরসভাকে একটি লুটপাটের প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছেন। আমি তাঁর সিমাহিন দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদসহ আদালতে মামলা দায়ের করি। সেই কারনে মেয়র রাজ্জাক আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করছেন। আমার বিরুদ্ধে মাসিক মিটিং-এ অনুপস্থিতির অভিযোগ তুলে কাউন্সিলর পদ বাতিল করবার পাঁয়তারা করছেন।

এ বিষয়ে বাঘা পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক কে মুঠোফোনে বারংবার কল দিয়ে যোগাযোগ করবার চেষ্টা করলেও কল রিসিভ হয়নি। বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পাপিয়া সুলতানা বলেন, বিষয়টি আমি মৌখিক ভাবে শুনেছি। তবে পৌরসভা জেলা প্রশাসকের অন্তর্গত হওয়ায় এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris