এফএনএস : শিক্ষকদের অভিন্ন পরিচয়পত্রের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। এ নির্দেশনায় পরিচয়পত্র তৈরিতে স্লিপ ফান্ড এবং অফিসের আনুষঙ্গিক খাত থেকে খরচ করার কথা বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কর্মকর্তা, শিক্ষক ও অধীনস্থ কর্মচারীদের পরিচয়পত্র সংক্রান্ত এ আদেশে সই করেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মিজানুর রহমান। সেখানে নতুন ৮টি নির্দেশনা সংযোজন করা হয়- ওয়েবসাইটের প্রদত্ত নমুনা অনুসারে পরিচয়পত্র প্রস্তুত করতে হবে। ফলে সারাদেশে অভিন্ন আকারে আইডি হবে।
প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের পরিচয়পত্র ইস্যু করবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসার। অফিস প্রধানরা তার অফিসে কর্মরত সবার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তার অধস্তন অফিস প্রধানদের পরিচয়পত্র প্রদান করবেন। দাফতরিক পরিচয়পত্র ইস্যুর জন্য সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা পরিচয়পত্রের নমুনা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের ‘ই-প্রাইমারী-স্কুল-সিস্টেম’ থেকে সংগ্রহ করে তার আওতাধীন সবাইকে জানাবেন।
কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য ও ছবি নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার কাছে জমা দেবেন। নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা এনআইডি এবং শিক্ষক পিন নম্বর সংযোজিত পরিচয়পত্রে সই করে ব্যবহারকারীকে দেবেন। শিক্ষকরা পরিচয়পত্র আইডি কার্ড সংরক্ষণ ও ব্যবহার করবেন। কর্মস্থল বাসস্থানের বাইরে দৈনন্দিন কাজে সার্বক্ষণিক পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে চলাফেরা করবেন।
পরিচয়পত্র তৈরিতে স্থানীয়ভাবে কালার প্রিন্ট ও লেমিনেশন করতে হবে। বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে স্লিপ ফান্ড এবং অফিস আনুষঙ্গিক খাত থেকে খরচ করা যেতে পারে। করোনার সময় জরুরি প্রয়োজনে চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়ায় শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের আইডি কার্ড ইস্যুর নির্দেশ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।