রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

রাজ্জাক-কবরীকে নিয়ে যা বললেন ববিতা

Paris
Update : রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১

এফএনএস বিনোদন: ঢাকাই সিনেমার মিষ্টি মেয়ে সারাহ বেগম কবরী। মিষ্টি হাসি আর অভিনয়ের নৈপুণ্য দিয়ে তিনি মাতিয়ে রেখেছিলেন দর্শক। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন তিনি। তার মৃত্যু শোকের বিষাদ ঢেলে দিয়েছে সংস্কৃতি অঙ্গনে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কবরী। তাই তার দাফনকাজে থাকছে স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি। এ অভিনেত্রীকে আজ জলবাদ জোহর বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে। এদিকে কবরীকে হারিয়ে শোকে ভাসছেন তার ভক্ত, সহকর্মীরা। তার স্মৃতিচারণ করে, আত্মার মাগফেরাত কামনা করে অনেকেই লিখছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

কবরীর দীর্ঘদিনের সহকর্মী নায়িকা ববিতাও স্মৃতির জানালা খুলে দিয়েছেন। কবরীর মৃত্যুতে ভীষণ মন খারাপ তার। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। বিশ্বাস করতে পারছেন না, কবরী নেই! অবেগজড়িতে কণ্ঠে ববিতা বললেন, কানাডা থেকে রাজ্জাক ভাইয়ের ছেলের বউ দুঃসংবাদটা জানালো। শুনেই বুক ধরফর ধরফর করছে। একটা সেকেন্ডও আর ঘুম হয়নি। আমার বিশ্বাস ছিল কবরী আপা ফেরত আসবেন। জুয়েল আইচ, আবুল হায়াত সাহেবরা ফেরত এসেছেন। আমার ধারণা ছিল কবরী আপাও করোনা জয় করে ফিরবেন। শরীরটা একদম ভালো লাগছে না। ভীষণ মন খারাপ।

আল্লাহ কবরী আপাকে বেহেশত নসীব করুন দোয়া করি।’ সর্বশেষ দুইটা ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন কবরী-ববিতা। যখন কথা হচ্ছিল তখন সিনেমা দুটির নাম মনে না করতে পারলেও শুটিংয়ের সেই স্মৃতি মনে পড়ছে ববিতার। তিনি বললেন, ‘এক সাথে অনেক গল্পগুজব করে করে শুটিং করলাম। কত স্মৃতি। বলে শেষ করতে পারবো না। রাজ্জাক ভাই যেদিন মারা গেলেন এফডিসিতে গেলাম তাকে দেখতে। সেদিনই কবরী আপার সাথে শেষ দেখা হয়েছিল।

তারপর আর দেখা হলো না। রাজ্জাক আর কবরীর শেষ দেখার সেই স্মৃতি আজও চোখে ভাসছে আমার। কোনোদিন ভুলবো না। রাজ্জাক-কবরীর মতো কালজয়ী জুটির কথাও এদেশের মানুষ কখনোভুলবে না বলে আমার বিশ্বাস।’ প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জন্মগ্রহণ করেন কবরী। তার আসল নাম ছিল মিনা পাল। বাবা শ্রীকৃষ্ণদাস পাল এবং মা লাবণ্য প্রভা পাল। বেড়ে উঠেছেন সংস্কৃতির চর্চাকে সঙ্গী করে।

১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন কবরী। তারপর টেলিভিশন ও সবশেষে আসেন সিনেমায়। কবরী ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষিক্ত হন মাত্র ১৪ বছরে। ব্যক্তিজীবনে কবরী বিয়ে করেন চিত্ত চৌধুরীকে। সে দাম্পত্যজীবন ভেঙ্গে যায়। পরে ১৯৭৮ সালে তিনি বিয়ে করেন সফিউদ্দীন সরোয়ারকে। ২০০৮ সালে তাদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কবরী ছিলেন পাঁচ সন্তানের জননী।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris