বুধবার

১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সপ্তাহেও মেরামত হয়নি ১০ বিদ্যুত পোল নগরীর শেখেরচকের রাস্তাগুলো অন্ধকারে

Paris
Update : রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মহানগরীর ২৩নং ওয়ার্ড অন্তর্গত শেখেরচক এলাকার প্রায় দশটি পোলে গত সাত দিন ধরে বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটছে এলাকাবাসির। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামলেই এলাকার বেশকয়েকটি রাস্তা নিমজ্জিত হয় অন্ধকারে। বিদ্যুৎ সংযোগ নষ্ট হবার কারনে ঐ সকল মহল্লার রাস্তাগুলোতে জ¦লেনা বৈদ্যুতিক লাইট; যার কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকাবাসিকে বলে জানান ভুক্তভোগী এলাকার বাসিন্দারা। উক্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহাতাবকে ভোগান্তির বিষয়টি একাধিকবার অবগত করলেও পরিত্রাণ মেলেনি অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশের হাত থেকে বলে জানান ভুক্তভোগিরা।

শেখেরচক এলাকার বাসিন্দা মালা, বিদ্যুত কুমার, পিংকি ঘোষ, হারুণ, ত্রয়ী দাস ও ঐশিসহ আরো অনেকেই জানান, গেল যেদিন বিদ্যুতের পোলে আগুণ লেগেছিল সেদিন সারারাত সমস্ত এলাকাছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন। পরেরদিন নেসকো থেকে জনবল এসে বিদ্যুতের পোলের তার ঠিক করে দেওয়ায় বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ পূণরায় আসলেও সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো মহল্লার প্রায় দশটি পোলে নেই বিদ্যুৎ। যার কারণে প্রতিদিন সন্ধ্যে থেকে পরেরদিন ভোর পর্যন্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ বিরাজ করে পুরো এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তাঘাট। যে বিদ্যুৎতের পোলে আগুণ লেগেছিল সেটিতে লেখা আছে রাসিক ‘ড-২৩/১-২০’।

পত্রিকার প্রতিনিধিকে দেওয়া স্থানীয়দের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে উক্ত এলাকায় গিয়ে দেখাগেছে, ব্যাংকার্স অফিসার ক্লাবের দক্ষিণদিকের একটি পোলে গালানো হয়েছে লাল রংয়ের নতুন তার। আগুণধরা পোলের নিচে ঢোপ ব্যবসায়ি শাজাহান জানান, গেল মাসের শেষ ২৭ মার্চ রোজ শনিবার দুপুরের দিকে পোলটিতে আগুণ ধরে গিয়েছিল। স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুৎ বিভাগকে (নেসকো) জানানোর পরেও তারা তৎক্ষণাত এসে সেটি মেরামত না করে পরেরদিন সকালে পোলের তার পরিবর্তন করে দেয়। কিন্তু নেসকোর গাফিলতির কারণে ওষ্ঠাগত গরমেও ঐদির সারারাত্রি এলাকাবাসি ছিল অন্ধকারচ্ছন্ন পরিবেশে। তারা আরো জানান, বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক হলেও এখনো পর্যন্ত পুরো মহল্লা প্রায় দশটি ল্যাম্প পোস্টে নেই বিদ্যুতের সংযোগ।

যার কারণে, সন্ধ্যা থেকে পরেরদিন ভোর পর্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের ঝুঁকি নিয়ে সরু ও মাঝারি পরিসরের রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। সরু রাস্তার এক পাশের্^ থাকা ড্রেন ও ড্রেনের উপরের ঢাকনাগুলো অন্ধকার পরিবেশে চলাফেরায় বিঘ্ন সৃষ্টি করার পাশাপাশি ঝুঁকির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে সকলের জন্য। অস্টম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ত্রয়ী ও ঐশি বলেন, মাঝেমধ্যেই আমরা রাতের বেলাতে খাবারের পানি সংগ্রহের জন্য মহল্লার সর্বদক্ষিনের ‘ডিব-টিউবওয়েলে’ যায়। বিদ্যুতের পোলে লাইট না জ¦লার কারণে আমাদের খুব ভয় লাগে ঐ অন্ধকার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে।

এছাড়াও ঐ অন্ধকারাচ্ছন্ন রাস্তা দিয়ে প্রধান সড়কে আসতে প্রায় সার্বক্ষণিক চলাচল করে সাইকেল। অন্ধকারাচ্ছন্ন রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে প্রায়শই ধাক্কা লাগে একে অপরের সাথে। এমন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ ও ধীরগতি সম্পন্ন নাগরিক সুবিধা থেকে পরিত্রাণ চান এলাকাবাসি। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে একাধিকবার অভিযোগ দেবার পরেও এলাকাবাসির পরিত্রাণ মেলিনি অন্ধকার জগৎ থেকে, যার কারণে ক্ষোপ আর হতাশা ব্যক্ত করেছেন এলাকার সচেতন নাগরিকরা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris