বুধবার

১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীতে গুটি আম পাড়া শুরু হলেও জাতের আম পাড়া হবে ২৫ মে থেকে রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে মিজু গ্যাংয়ের ১১ সদস্য গ্রেফতার বাঘায় দোকান কর্মচারিকে কুপিয়ে হত্যার দুই আসামীর মৃত্যুদণ্ড শিল্পা শেঠির বিরুদ্ধে পশু নিগ্রহের অভিযোগ উৎকণ্ঠার অবসান, স্বজনের বুকে ২৩ নাবিক কলেজে ভর্তি অনলাইনে আবেদন শুরু ২৬ মে, ফাঁকা থাকবে ৮ লাখের বেশি আসন সারাদেশে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১২৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ রাজশাহীতে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ রুয়েটের নতুন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বিএসএফ’র পোশাকধারী মাদক পাচারকারী রাজশাহীর রেন্টু আটক

জাল সনদে স্কুলে চাকুরী আইনী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

Paris
Update : বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১

আরিফ সাদাত, পুঠিয়া : রাজশাহীর পুঠিয়া-শিবপুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা (শরীর চর্চা) শামীম আরা খাতুন জাল সনদে দীর্ঘদিন থেকে চাকুরী করে আসছিলেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ যাচাই করে নিশ্চিত করেছেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা শিক্ষা বিভাগ নির্দেশ দিয়েছেন। স্কুল সূত্রে জানা গেছে, শামীম আরা খাতুন রাজনৈতিক ভাবে বিশেষ তদবিরের মাধ্যমে জাল সনদে ২০১১ সালে শূন্যপদে স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা (শরীর চর্চা বিভাগে) হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের এক বছরের মধ্যে তিনি এমপিওভূক্ত হন।

আর এরপর থেকে তিনি জাল সনদে চাকুরী করছেন এমন অভিযোগ উঠে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলের পরিচালনা কমিটি গত দু’বছর আগে জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। জেলা শিক্ষা অধিদপ্তর ওই শিক্ষিকার সনদপত্র যাচাই করতে বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। যাচাই শেষে গত ২১ মার্চ বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষিকার সনদপত্র জাল উল্লেখ করে একটি চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদন আসার পর জেলা শিক্ষা অধিদপ্তর ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্কুল প্রধানকে নির্দেশ দেন।

তবে সহকারী শিক্ষিকা শামীম আরা খাতুনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলবেন না বলে জানান। শিবপুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আরাবিয়া সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই শিক্ষিকা যোগদানের পর থেকে তার শিক্ষা সনদ জাল বলে অভিযোগ ছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।

কর্তৃপক্ষ তার কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে তার সনদটি জাল বলে নিশ্চিত করেছেন এই মর্মে একটি পত্র আমরা পেয়েছি। এই বিষয়টি স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, জাল সনদে যে শিক্ষিকা চাকুরী করছেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris