রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে : প্রধানমন্ত্রী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত পবার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন নাবিল গ্রুপ প্রেজেন্টস ৮ম আর ইউ সি সি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি

সেই এসআইয়ের কোটিপতি স্ত্রী কারাগারে

Paris
Update : বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১

এফএনএস : চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলজার বেগম। তার আরেক পরিচয় তিনি সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নওয়াব আলীর স্ত্রী। কিন্তু সব পরিচয় ছাপিয়ে তিনি একজন কোটিপতি। চট্টগ্রাম শহরে ফ্ল্যাট ও প্লটের মালিক তিনি। চড়েন ব্যক্তিগত গাড়িতে। কিন্তু দুদক বলছে গোলজার বেগমের এতোসব অর্জন তার পুলিশ স্বামীর অবৈধ আয়ে।

গতকাল মঙ্গলবার গোলজার বেগমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক। গোলজার বেগমের স্বামী মো. নওয়াব আলী বর্তমানে ঢাকায় সিআইডির এসআই পদে কর্মরত আছেন। দুদকের তথ্য মতে বর্তমানে এই দম্পতির ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। তবে অধিকাংশ সম্পদের মালিক স্ত্রী গোলজার। যা জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।

এ ঘটনায় সম্প্রতি এসআই নওয়াব আলী, তার স্ত্রী গোলজার বেগম, কর অঞ্চল-১ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) বাহার উদ্দিন চৌধুরী ও কর পরিদর্শক দীপঙ্কর ঘোষকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। দুদকের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এই চার আসামির বিরুদ্ধে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সেই মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন গোলজার বেগম।

তিনি আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু আসামিরা পলাতক ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার চার আসামির একজন গোলজার বেগম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে, আদালত তা নামঞ্জুর করেন। দুদক সূত্র জানায়, নওয়াব আলীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের কেকানিয়া এলাকায়।

১৯৯২ সালে কনস্টেবল পদে যোগ দেন তিনি। সেখানে নিজের নামে ২০১৩ সালে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ জমির উপর একটি দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। আর স্ত্রী গোলজারের নামে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছলিমপুরে ৩৫৪ শতক জমি, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার এলাকায় পার্কিংসহ ১ হাজার ১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, একই এলাকায় ৪ শতক জমি রয়েছে।

এছাড়া গোলজারের নামে একটি মাইক্রোবাসও রয়েছে। নওয়াব আলী কৌশলে স্ত্রী গোলজারকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকার মালিক সাজিয়েছেন। কথিত মাছ চাষ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা আয়ের কথা বলা হলেও বাস্তবে মাছ চাষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তারপরও মাছ চাষ করা হয় মর্মে কর কর্মকর্তারা প্রতিবেদন দেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris