শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

বাগমারায় প্রকল্পের বাড়ি দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

Paris
Update : বুধবার, ১০ মার্চ, ২০২১

শামীম রেজা, মচমইল : রাজশাহীর বাগমারায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পুর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর গৃহায়ণ প্রকল্পের বাড়ি পাইয়ে দেয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পুর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় গরীব মানুষকে বাড়ি দেওয়ার ঘোষনা দেন ২০১৬ সালে। এর ধারাবাহিকতায় প্রথম ধাপেই ১৪৭ টি বাড়ি বরাদ্দ পাই বাগমারা উপজেলার অসহায় গরীব মানুষ। এরপর এই বাড়ি পাইয়ে দেয়ার নামে চলছে আর্থিক বানিজ্য। এ রকমই একটি ঘটনা ঘটেছে উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের মির্জাপুরগ্র গ্রামে।

জানাগেছে, প্রায় এক বছর পূর্বে মির্জাপুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে আলাল হোসেন (৩২) একটি বাড়ি জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। সেই সুযোগে গরীব আলালের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে একই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল বারি। আলালকে বাড়ি পাইয়ে দিবে বলে আশ্বাস দিয়ে টাকার দেন সেই সাথে তার নিকট থেকে সুকৌশলে ৫৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে এলাকাতে গেলে উঠে আসে আব্দুল বারির অবাক করা না জানা অনেক তথ্য। প্রায় দুই বছর আগে একটি খাঁস পুকুর জবরদখল করে এই বারি। যার কারনে তার সহযোগী পাশের গ্রামের (মুগাইপাড়া) আব্দুল কাশেমের ছেলে মাসুদ রানা মাষ্টার জেল পর্যন্ত খেটেছে।

এরপর এই আব্দুল বারি মাদক নিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে বিমানবন্দর থানার বিমানবন্দরের সামনে চেকপোষ্ট পুলিশের হাতে। সূত্রমতে জানাযায়, প্রায় দেড় বছর আগে রাজশাহী থেকে মাদক নিয়ে আসার পথে পথিমধ্যে একই এলাকার বুলবুল নামের এক শিক্ষককে দেখতে পাই এবং তাকে তার মোটরসাইকেলে উঠে বসতে বলে। বুলবুল না জেনেই গাড়িতে উঠে বসে এবং পুলিশের হাতে ধরা খাই। সেখানেও অলৌকিক ক্ষমতায় নিজেকে উদ্ধার করে বারি কিন্তু বুলবুলকে যেতে হয় জেলে। সর্বশেষ নিজ গ্রামের মসজিদের বরাদ্দকৃত জায়গা সুকৌশলে নিজের নামে করে নেয়। পুরো গ্রামবাসি বারির বিরোধিতা করে এবং শালিস বসে এখানেও তিনি নিজের দাপট ও দলীও প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে জাহির করে রেখেছে।

এমনকি এই নেতার দাপটে কোনঠাসা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মীরা। যারা আওয়ামীলীগের জন্য নিজের প্রাণ দিতে প্রস্তুত। অথচ এই রকম নেতার কারনে দলে জায়গা পাচ্ছেনা। এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন, এই বারি মাত্র ৫ বছর আগেও বিএনপির ঢোল বাঁজিয়ে বেড়াত। অথচ সে এখন আওয়ামী লীগের বড় নেতা। সে আবার ওয়ার্ড কমিটির পদেও রয়েছে। ঘটনার সত্যতা ও অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে আব্দুল বারির সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা সম্পুর্ণ মিথ্যা। আমি আলালের নিকট থেকে টাকা ধার নিয়েছি। যা সময় হলে ফেরত দিবো।

দল পরিবর্তনের কথা জানতে চাইলে উত্তরে বলেন। হ্যা আমি আগে বিএনপি করতাম কিন্তু এখন মন থেকে আওয়ামী লীগ করি। অন্যান ঘটনা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি। এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মদ বলেন, এরকম কোন বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris