মোবারক হোসেন শিশির, দুর্গাপুর : রাজশাহী দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের আগের দিনে নৌকা প্রার্থীর দুইটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুবৃর্ত্তরা। গত শুক্রবার রাতে দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ও সিংগা পুরনো বাসস্ট্যান্ড সংলল্গ আওয়ামীলীগ সমর্থিত তোফাজ্জল হোসেনের নৌকা প্রার্থীর অফিসে এঘটনাঘটে। এঘটনায় ১৩জনের নাম উল্লেখসহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এমন ঘটনার পর থেকে দুর্গাপুর সদরসহ আশে পাশের এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে সাধারণ ভোটারদের মাঝে দেখা দিয়েছে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে ভয়ের সঞ্চয় ।
থানার পুলিশ ও প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কয়েকজন নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে সংবাদিকদের বলেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর নেতারা পরিকল্পিতভাবে এমন ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আথচ ওই ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। নির্বাচন কেন্দ্রে বিএনপির নেতাকর্মী ও ভোটাররা যাতে না যেতে পারে সেই জন্য তারা এমন কৌশল তৈরী করে মামলা করেছেন।
জানা গেছে, আজ রোববার পঞ্চম ধাপে দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের প্রচার প্রচারণার শেষ দিন শুক্রবার রাত আনুমান সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার ৭নং ওয়াড দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ভাঙচুর চালায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিস। সেই সাথে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় নির্বাচনী অফিস। একই রাতে সিংগা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নির্বাচনী অফিসও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
ওই ঘটনায় দুর্গাপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের ওয়ার্ড নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলা করেন। জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাশমত আলী বলেন, নৌকার নির্বাচনী দুইটি অফিসে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এখটনায় পৃথক মামলা ও অভিযোগ হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পোড়া চেয়ারসহ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনা ঘটতে দেওয়া যাবে না। এদিকে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়। সে জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহসীন মৃধা।