এফএনএস : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন। এখন থেকে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের মাধ্যমে সরাসরি কূটনৈতিক যোগাযোগ করা হবে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব জেন সাকি এই ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এর আগে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে কাজ করতে পছন্দ ছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের। অন্যদিকে সৌদি আরবের কার্যত নেতা মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাত জারেড কুশনার। হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব জেন সাকি বলেন, আমরা শুরু থেকেই পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কে আমরা পরিবর্তন আনতে চাই।
যুবরাজের প্রতি এই অবজ্ঞাপূর্ণ মন্তব্যের পাশাপাশি জেন সাকি বলেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও প্রথমবারের মতো ফোনালাপ করতে যাচ্ছেন বাইডেন। সৌদিতে ৮৫ বছর বয়সী বাদশাহ সালমানের পর সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এমবিএস নামে পরিচিত যুবরাজকে। যুবরাজের সঙ্গে বাইডেন কথা বলবেন কিনা, প্রশ্নে জেন সাকি বলেন, সমমর্যাদার ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এখানে বাইডেনের সমকক্ষ হলেন বাদশাহ। কাজেই যথাসময়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। তবে কবে ফোন আলাপ করা হবে।
এ বিষয়ে কোনও তথ্য দেননি জেন সাকি। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ইস্তানবুলে কনস্যুলেটে যুবরাজের ঘনিষ্ঠ সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা নির্মমভাবে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করে। এরপরেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাপের মধ্যে পড়েন মোহাম্মদ বিন সালমান। সংস্কার কর্মসূচির মাধ্যমে নিজের যে খ্যাতি তিনি ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন, তাও ম্লান হয়ে যায়। মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে সৌদি আরবকে চাপ দিয়ে আসছে বাইডেন প্রশাসন। রাজনৈতিক বন্দিদেরও মুক্তি দিতে বলা হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স