এফএনএস : মার্কিন সমর্থনে বেইজিং থেকে স্বাধীনতার প্রচেষ্টা মানেই ‘যুদ্ধ’ বলে কড়া এক বিবৃতিতে তাইওয়ানকে সতর্ক করে দিয়েছে চীন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। চীনের সামরিক কার্যক্রম শুরু করা এবং দ্বীপটির পাশে যুদ্ধ বিমান পাঠানোর কয়েকদিন পরেই এমন সতর্কতা এলো বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে। গেল সপ্তাহে তাইওয়ান এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে নতুন মার্কিন প্রশাসনকে স্বাগত জানিয়ে তাইওয়ান বিবৃতি দিলেও এমন হুঁশিয়ারি দেয় চীন।
এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা সামর্থ্যকে পুনরুদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দেয়। গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে চীন একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসাবে দেখলেও তাইওয়ান নিজেকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে বিবেচনা করে। চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ কিয়ান বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলছি, যারা আগুন নিয়ে খেলে তারা নিজেরাই আগুনে পুড়বে।
আর তাইওয়ানের স্বাধীনতার অর্থই হলো যুদ্ধ।’ এদিকে বৃহস্পতিবার এ ঘটনার কিছু পরেই এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীনের এমন মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক এবং তাইওয়ান সম্পর্ক আইনের আওতায় আমাদের সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্দেশ্যের সাথে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ জন কিরবি আরো বলেন, ‘তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের উত্তেজনা বৃদ্ধির মতো তেমন কোনো কারণ দেখছেনা পেন্টাগন।’