রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
একাদশে ভর্তি ১৫-২৫ জুলাই ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে আশঙ্কা কেটে গেছে বাংলাদেশি টাকা পাচার করতে গিয়ে সিপিএম নেতা গ্রেফতার শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে : প্রধানমন্ত্রী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত পবার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন নাবিল গ্রুপ প্রেজেন্টস ৮ম আর ইউ সি সি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

পানের দামে স্বস্তিতে রাজশাহীর চাষিরা

Paris
Update : বুধবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২১

আর কে রতন : রাজশাহীর মোহনপুর, বাগমারা ও দুর্গাপুর উপজেলা পান চাষের জন্য বিখ্যাত। এ অঞ্চলের কুষকদের প্রধান অর্থকারী ফসল পানচাষ। কিন্তু চলমান মহামারি করোনাভাইরাসের আঘাতের জন্য পান বিক্রি করতে না পারায় ব্যাপকভাবে পান চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ থেকে পানের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে রাজশাহীর কৃষকদের মধ্যে। রাজশাহীর বাগমারার মচমইল হাটে পান বিক্রি করতে আসা চাষি আনারুল ইসলাম বলেন, চলমান করোনাভাইরাসের কারণে বিগত দিনে টানা ৪-৫ মাস লকডাউন থাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে পাইকাররা আসতে না পারায় পানের দাম কয়েকগুণ কমতিতে বিক্রি করতে হয়েছিল।

এছড়াও ঘন ঘন বর্ষণ ও বন্যায় পান বরজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে বর্তমান বাজারে পানের দাম আগের তুলনায় বাড়তি থাকায় আমরা পূর্বের ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে। দুর্গাপুর উপজেলার পানচাষি মিজানুর রহমান বলেন, ২০ শতক জমিতে পানের বরজ করেছি। অতিবৃষ্টি এবং বন্যার কারণে পানের বরজের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। গত এক মাস আগে যে পানের দাম ছিলো ৫ টাকা বিড়া সেই পানের দাম এখন ৩০ টাকা। এভাবে পানের দাম বাড়তে থাকলে আমরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো। পানচাষি রুহুল আমিন জানান, ১৫ শতক জমিতে পান করি এবং উৎপাদনও আশারুপ হয়েছে।

পূর্বে যে পান বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪০ টাকা বিড়া। সেই পান এখন ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বর্তমানে দর ভাল পেয়ে আমি অনেক খুশি। মোহনপুর উপজেলার বাকশিমইল গ্রামের পান চাষি ইউসুফ আলী বাবু জানান, ২০ শতক জমিতে পানবরজ করেছি। চলতি বিগত দিনে কয়েকবার বন্যার কারনে পান ক্ষেতের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পান ক্রেতার সংকটে খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিন কেটেছে। বর্তমানে পানের দাম ভাল পাওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারছি। শিবপুর গ্রামের পাইকারি পান ক্রেতা রনি আহমেদ জানান, লকডাউনের সময় পানের বাজার খুব খারাপ ছিল।

গত কয়েক দিন হতে পানের মূল্য বেড়ে গেছে। ছোট পানের পোয়া পূর্বে ৬০০ টাকার স্থলে এখন ১৫০০ টাকা। এবং বড় পানের পোয়া ১১০০ টাকার স্থলে এখন ১৫০০ থেকে ২২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাকুড়িয়া পানের হাট কমিটির পরিচালক আতাউর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে কয়েক মাস লকডাউন থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ বিদেশে পান রপ্তানি বন্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে সবকিছু আগের মত স্বাভাবিক হওয়ায় পুরোদমে পান বেঁচা-কেনা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া পানের দামও বাড়তি রয়েছে বলে জানান তিনি। ফলে পানচাষিরা ঘুরে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুুল হক বলেন, চলতি বছর রাজশাহীতে চার হাজার ৩১১ হেক্টর জমিতে পান উৎপাদন হয়েছে ৬৮ হাজার ৯৭৬ টন। রাজশাহীতে বছরে এক হাজার ১০৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার পান বেচাকেনা হয়ে থাকে এবং রাজশাহীর ৬৯ হাজার ২২৮ জন কৃষক অর্থকারী ফসল পান চাষের সঙ্গে জড়িত আছেন। তিনি আরো বলেন, পানচাষিদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris