স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভায় ইভিএম ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১৭ জনসহ অজ্ঞাত ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর গত সোমবার রাতে ৮নং ওয়ার্ডে চর শ্যামপুর এলাকার ইউসুফ মেমোরিয়াল কেজি স্কুলের ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাধা দিলে তাদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ান হামলাকারীরা। তাদের ইটের আঘাতে দুই পুলিশ আহত হন। তাদের প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে রাত সাড়ে রাত ৯টার দিকে পুলিশ পাশের আজিজুলের মোড় এলাকা থেকে এ ইভিএম উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় রাতেই ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা অভিষেক বসাক বাদি হয়ে কাটাখালি থানায় মামলা করেছেন। এতে ১৭ জন আসামির নাম উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫০-২০০ জনকে। এই তথ্য নিশ্চিত করে কাটাখালী থানার ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল লতিফের সমর্থকরা হামলা করে কেন্দ্রে ভাঙচুর চালায়। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেল ছোড়ে।

ওসি আরও বলেন, হামলাকারীরা যাওয়ার সময় একটি ইভিএম ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে আজিজুলের মোড় এলাকার রাস্তার পাশে সেটি পাওয়া যায়। রাতেই এ নিয়ে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। পবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, ৮নং ওয়ার্ডে ডালিম প্রতীক নিয়ে আবদুল মজিদ ৫৯৩ ভোট পান। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উটপাখি প্রতীকে আবদুল লতিফ পেয়েছেন ৫৬৮ ভোট। ফলাফল ঘোষণার পর তার সমর্থকরা এ হামলা চালায় বলে জানান তিনি।