বৃহস্পতিবার

১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরিতে রাসিকের প্রতিটি ওয়ার্ডে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হবে : মেয়র টকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীতে গুটি আম পাড়া শুরু হলেও জাতের আম পাড়া হবে ২৫ মে থেকে রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে মিজু গ্যাংয়ের ১১ সদস্য গ্রেফতার বাঘায় দোকান কর্মচারিকে কুপিয়ে হত্যার দুই আসামীর মৃত্যুদণ্ড শিল্পা শেঠির বিরুদ্ধে পশু নিগ্রহের অভিযোগ উৎকণ্ঠার অবসান, স্বজনের বুকে ২৩ নাবিক কলেজে ভর্তি অনলাইনে আবেদন শুরু ২৬ মে, ফাঁকা থাকবে ৮ লাখের বেশি আসন সারাদেশে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১২৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ রাজশাহীতে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ

বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হতে হবে

Paris
Update : শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : জীবনে চলার পথে প্রত্যেক মানুষের বন্ধু নামের বিশ্বাসী ও মজবুত এক সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। মানুষ যেহেতু সামাজিক জীব, তাই জীবনের কোনো না কোনো সময় তারা বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হবেই। সৎ বন্ধু মানুষের ইহকাল ও পরকালের জন্য কল্যাণকর হয়। আর বন্ধু যদি হয় অসৎ, তবে তার প্ররোচনায় পড়ে মানুষের বিপথগামী হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই বন্ধু নির্বাচনে অত্যন্ত সতর্ক হওয়া উচিত।

রাসুল (সা.) বলেছেন, সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উপমা হলো কস্তুরী বহনকারী (আতর বিক্রেতা) ও কামারের হাপরের মতো। মৃগ কস্তুরী বহনকারী হয়তো তোমাকে কিছু দান করবে কিংবা তার কাছ থেকে তুমি কিছু খরিদ করবে কিংবা তার কাছ থেকে তুমি লাভ করবে সুবাস। আর কামারের হাপর হয়তো তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে কিংবা তুমি তার কাছ থেকে পাবে দুর্গন্ধ। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮২৯)
উপরোক্ত হাদিস দ্বারা বোঝা যায় যে জীবনে চলার পথে কিছু মানুষকে বন্ধু হিসেবে নির্বাচন করা যাবে না। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে ইমান ও আমলে ত্রুটি দেখা দেওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের লোক কিভাবে চিনব, যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা নিষেধ। রাসুল (সা.) বিভিন্ন সময় সে লোকদের ব্যাপারে উম্মতকে সতর্ক করেছেন।

যাদের অনিষ্টের ভয়ে মানুষ তাদের থেকে দূরে থাকে : আমাদের আশপাশে এমন অনেক মানুষ পাওয়া যায়, যাদের অনিষ্টের ভয়ে তাদের নিকটাত্মীয়রাও তাদের থেকে দূরে সরে থাকে। রাসুল (সা.) এদের থেকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইল। তিনি বলেন, তাকে অনুমতি দাও। সে তার বংশের নিকৃষ্ট সন্তান। অথবা বলেন, সে তার গোত্রের ঘৃণ্যতম ভাই। যখন সে প্রবেশ করল, তখন তিনি তার সঙ্গে নম্রভাবে কথাবার্তা বলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি এর ব্যাপারে যা বলার তা বলেছেন।

এখন আপনি তার সঙ্গে নম্রভাবে কথা বললেন। তিনি বলেন, হে আয়েশা! আল্লাহর কাছে মর্যাদায় নিকৃষ্ট সেই ব্যক্তি, যার অশালীন ব্যবহার থেকে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ তার সংসর্গ বর্জন করে চলে। (বুখারি, হাদিস : ৬১৩১)
অনেকে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার জন্য পরিবার কিংবা সমাজের মানুষের সঙ্গে রূঢ় ব্যবহার করে। মানুষকে চাপে রাখার চেষ্টা করে। মানুষকে ভয় দেখিয়ে যারা সম্মান আদায় করতে চায়, তাদের মূল অবস্থান উপর্যুক্ত হাদিসে স্পষ্ট করা হয়েছে। তাই প্রভাব বিস্তারের জন্যও এমনটি করা উচিত নয়।
দুমুখো মানুষ : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, মানুষের মধ্যে দুই রূপধারী লোক সবচেয়ে নিকৃষ্ট। যে এ দলের কাছে আসে এক রূপ নিয়ে এবং অন্য দলের কাছে আসে অন্য আরেক রূপ নিয়ে। (মুসলিম, হাদিস : ৬৫২৪)।

যারা সব ক্ষেত্রে দুনিয়াকে প্রাধান্য দেয় : আবু উমামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি অপরের পার্থিব স্বার্থে আখিরাত বরবাদ করেছে, কিয়ামতের দিন সে হবে আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট ব্যক্তি। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৯৬৬)
মানুষ যদি দুনিয়ার ওপর আখিরাতকে প্রাধান্য দিত, তবে পৃথিবীতে সুদখোর, ঘুষখোর, ধর্ষক, সন্ত্রাসী কিছুই থাকত না। তাই আমাদের উচিত, জীবনের সব ক্ষেত্রে আখিরাতকে প্রাধান্য দেওয়া। আল্লাহকে ভয় করা। যারা আখিরাতবিমুখ ও অন্যান্যের আখিরাত থেকে বিমুখ করার পাঁয়তারা করে, তাদের থেকে দূরে থাকা।-মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা:


আরোও অন্যান্য খবর
Paris