স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পুঠিয়ায় পৌরসভার আগামী ২৮ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভাড়া করা লোকদের দিয়ে ভোটের প্রচারণার চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছে। তারপর এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী উন্নয়নমূলক কোনো প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইস্তেহার ঘোষণা করেন নি। এ নিয়ে সাধারণ ভোটারের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আ.লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবি, বিএনপি মনোনিত প্রার্থী আল মামুন খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম আজম নয়ন। তিনজন প্রার্থী কেউ এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বা ইস্তেহার ঘোষণা করেন নি।

সাধারণ ভোটাদের অভিযোগ, মহিলা ও সাধারণ কাউন্সিলরগণ মাঝেমধ্যে তাদের প্রচারণা করতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কোনো মেয়র প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে দেখা যাচ্ছে না। প্রার্থীরা ভাড়া লোকজন দিয়ে ভোটের প্রচারণার মাঠ চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনী তফসিল ঘোষনার পর সম্ভব্য মেয়র প্রার্থী ও দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের মাঝে উৎসবের আমেজ ছিল। কিন্তু দলীয় একক প্রার্থী ঘোষনার পর দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ভোটের উৎসব দেখা মিলছে না। দলীয় মার্কা পেয়েও আ.লীগ বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা সাধারণ সকল ভোটারদের কাছে যাচ্ছে না।

তারা বিভিন্ন ওয়ার্ডের চিহ্নিত কিছু লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। দুই দলের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে দৈনিক মুজুরি হিসাবে ৪ শতাধিক মহিলা ও দু’শতাধিক পুরুষ প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে করে ভোটারদের মাঝে বিরুপ প্রভাব দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোটারা বলেন, আগে নির্বাচন আসলে প্রার্থীর ভোটারদের মাঝে দেখা যেত। এখনো পর্যন্ত কোনো মেয়র প্রার্থী আমাদের কাছে ভোট চাইতে আসেনি। তাদের হয়ে ভোট চাইতে এসেছে, কিছু ভাড়া করা মহিলা।

এ বিষয়ে আ.লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে আমিসহ দলের নেতাকর্মীরা চরম ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছি। আমি নির্বাচিত হলে আগামীতে পৌরসভা এলাকায় যে সকল সমস্যা এখনো আছে তা আগে সমাধান করা হবে। এ ছাড়া পৌর এলাকায় কয়েকটি বড় প্রকল্পের কাজ করা হবে। বিএনপির মনোনিত দলীয় মেয়র প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, বিএনপি জনগণকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বুলি দেয় না। আমি নির্বাচিত হতে পারলে জনগণের কল্যাণে সার্বক্ষনিক কাজ করব।

এ জন্য, ইস্তেহারের প্রয়োজন নেই। সংরক্ষতি মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮ জন পুরুষ কাউন্সিলর পদে মোট ৩৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। এবার পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৬০ জন ও মহিলা ভোটার ৮ হাজার ৪৭৩ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ৯টি ও ৪৮টি বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে।