চারঘাট প্রতিনিধি : শহীদ মিনার আমাদের গর্ব। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের গভীরতম আবেগ, অনুভূতি। স্বাভাবিকভাবেই এই শহীদ মিনার আমাদের কাছে বড়ই স্পর্শকাতর। এর সামান্যতম অবমাননা, অবহেলা আমাদের ক্ষুব্ধ করে, আমরা ব্যথিত হই। অথচ মহান বিজয় দিবসের দিনে রাজশাহীর চারঘাটের এক সময়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারজুড়ে আজ কেবলই অযত্ন-অবহেলার ছাপ। জানা যায়, চারঘাট স্লুইসগেটর পাশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মানের পূর্বে চারঘাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের শহীদ মিনারটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসাবে ব্যবহৃত হতো।
উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সংগঠনগুলো মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা শহীদদের সম্মান জানাতে আসতো এই শহীদ মিনারে। অথচ এক সময়ের কেন্দ্রীয় এ শহীদ মিনার আজ বিজয়ের দিনে অযত্ন অবহেলায় পড়ে রয়েছে। স্কুল কতৃপক্ষ নিয়ম রক্ষায় একটি ফুলের ডালা দিলেও শহীদ মিনারে পৌর কতৃপক্ষ বসিয়েছে বাজার। বিজয় দিবসের দিনেও শহীদ মিনারের বেদিতে ফুলের পরিবর্তে শোভা পাচ্ছে সবজি বাজার ও দোকানের আসবাবপত্র। শহীদ মিনারের স্তম্ভের সাথে দড়ি দিয়ে টাঙানো হয়েছে দোকানের ছাউনি। এতে ক্ষুদ্ধ স্থানীয় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ও সুশীল সমাজসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।
এ ব্যাপারে চারঘাট পদ্মা বড়াল থিয়েটার ও উপজেলা স্কাউটস এর সাধারণ সম্পাদক সাংস্কৃতিক কর্মী নজরুল ইসলাম বাদশা জানান, ‘শহীদ মিনারের এমন অমর্যাদা কাম্য নয়। এর দায়িত্বে যারা আছেন তাদের আরো দায়িত্ববান হবার প্রয়োজন ছিল। বিজয় দিবসের দিনে অন্তত শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বাজার না বসিয়ে পরিস্কার রাখা উচিত ছিল।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চারঘাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন বলেন, উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারের প্রতি যত্নশীল হবার নির্দেশনা রয়েছে। তবে শহীদ মিনারের প্রতি নিজ এলাকাবাসীরও দায়িত্ব রয়েছে। চারঘাটে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পৌরসভার বাজার স্থানান্তর করার কারনেই সে শহীদ মিনারের এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।