বুধবার

২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

Norway
সর্বশেষ সংবাদ
অস্বচ্ছতা নজরে আসলে ফলাফল স্থগিত : রাজশাহীতে ইসি রাশেদা দুই ফিট মাটির নিচ থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার নির্বাচন পেছাতে লিগ্যাল নোটিশ নওগাঁ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আ.লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা গ্রেপ্তার ৪ শিক্ষক কারাগারে হাঁসের ভ্রাম্যমান খামারে আলোর মুখ রাজশাহীর ৬টি আসনে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন ৩৯ জন মেয়র লিটনের সাথে রাজশাহীর ৩টি আসনে আ.লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎ নগরীতে ঝুঁকিপূর্ণ পন্থায় চলছে বাদুড়ের শরীরে থাকা ভাইরাসের পরীক্ষা-নিরীক্ষা! বাগমারায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি এনামুল হকের পক্ষে মনোনয়নপত্র উত্তোলন

ডিসেম্বর আমাদের

Reporter Name
Update : বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : আজ বুধবার ৯ ডিসেম্বর লড়াকু মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। এ এক অন্যরকম দৃশ্য। অন্যরকম অভিজ্ঞতা। প্রতি মুহূর্তেই রচিত হতে থাকে স্বাধীনতা যুদ্ধ জয়ের অমর গাঁথা। ১৯৭১ সালের এই দিনে চাঁদপুর ও দাউদকান্দি (কুমিল্লা) এলাকা পাকিস্তানী বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করেছিল বীর মুক্তিযোদ্ধারা। স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত এই পর্যায়ে অন্য অঞ্চলের সাথে মুক্ত হয়েছিল ফেনীর ছাগলনাইয়া। এক নম্বর সেক্টরের ক্যাপ্টেন মাহফুজের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা এই এলাকা মুক্ত করার লড়াইয়ে অংশ নেয়। বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ ফেনী-চট্টগ্রাম সড়ক ধরে এবং অন্য একটি অংশ মুহুরী নদী হয়ে চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হয়। তুমূল গণযুদ্ধ শেষে আজকের দিনে জামালপুরও মুক্ত হয়। এটি মুক্ত হওয়া ছিল একটি মাইলফলক।

পরবর্তীতে মুক্তিবাহিনী টাঙ্গাইল হয়ে ঢাকায় পৌঁছেছিল। দেশের অন্য প্রায় সকল অঞ্চলে তখন চলছিল ঢাকা দখলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। ৯ ডিসেম্বর থেকেই সব দিক থেকে মুক্তিবাহিনী ঢাকার দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। এদিকে, পূর্ব পাকিস্তানের গবর্নর ডা. এ এম মালিকও মরিয়া হয়ে উঠেন। সেদিন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে পাঠানো চিঠিতে তিনি বলেছিলেন, আশু যুদ্ধ বিরতি এবং রাজনৈতিক মীমাংসা বিবেচনার জন্য আরো একবার আপনার প্রতি আহবান জানাচ্ছি। ঐ দিন রাতে ইয়াহিয়া খান তার উত্তরে লিখেছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি আমি সম্পর্ণরূপে আপনার উপর ছেড়ে দিচ্ছি। আপনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই আমি অনুমোদন করবো।

একই সাথে জেনারেল নিয়াজীকে নির্দেশ দিচ্ছি তিনি যেন আপনার সিদ্ধান্ত মেনে নেন এবং সেই অনুসারে সবকিছুর আয়োজন করেন। মূলত এই বার্তার মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। আÍসমর্পণের অনুমতি দিয়েছিলেন। অথচ এর আগের দিনের চিঠিতেও তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাংলার বীর সেনানীদের যুদ্ধ ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল বলেই ইয়াহিয়া খান এই নির্দেশ দিয়েছিলেন।
একাত্তরের এই দিন আরো হানাদারমুক্ত হয় কুমারখালী (কুষ্টিয়া), তিতাস (কুমিল্লা), পাইকগাছা (খুলনা), গাইবান্ধা, নকলা (শেরপুর), অভয়নগর (যশোর), ঈশ্বরগঞ্জ, গফরগাঁও ও ত্রিশাল (মোমেনশাহী), নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন এলাকা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris