শুক্রবার

১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নেই ভারতীয় কেউ, আছেন বাংলাদেশের ড. ইউনূস ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ত্বের শক্ত প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা নাচোলে সাংবাদিক শিশিরের ইন্তেকাল গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলেছে বাংলাদেশ আদালতে সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে স্বামী দাবি করলেন মডেল মেঘনা রাজশাহীতে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় প্রাণ হারাতে হলো পিতাকে রাজশাহীতে কলেজ ছাত্রীর নগ্ন ছবি প্রস্ততকারী মুন্না পুঠিয়া থেকে গ্রেফতার পত্নীতলায় ভূমি অফিসের দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে দুদক ও ডিসিকে অভিযোগ রাজশাহীতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে সংবর্ধনা দেশের কম দরিদ্র বিবেচনায় রাজশাহী বিভাগ তৃতীয়তম

বাংলা নববর্ষে রাজশাহীতে এবার ইলিশের চাহিদা ছিল কম

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলা নববর্ষ বাঙালির আবেগ, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক। দিনটি ঘিরে নানা আয়োজন থাকলেও এক জায়গায় সবার ভাবনা মিলে যায়, পান্তা-ইলিশ। প্রতি বছর এই দিনকে কেন্দ্র করে ইলিশের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তবে এবার রাজশাহী নগরের বাজারগুলোতে দেখা গেছে কিছুটা ভিন্ন চিত্র। ক্রেতাদের মাঝে ইলিশ কেনার আগ্রহ তেমন দেখা যায়নি। নগরীর বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ীরা ইলিশ সাজিয়ে রাখলেও অধিকাংশ ক্রেতা মাছ দেখেই ফিরে যাচ্ছেন, আকাশ ছোয়া দামের কারণে তেমন একটা আগ্ৰহ লক্ষ করা যায়নি ক্রেতাদের মধ্যে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) নগরীর সাহেব বাজার, নিউ মার্কেট, শালবাগান, নওদাপাড়া, সাগরপাড়া, তেরখাদিয়া সহ অন্যান্য বাজারের মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছছ ইলিশ। তবে, ছোট ইলিশের দর ছিল ৮০০ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, অন্যান্য বছর পহেলা বৈশাখের দু-তিনদিন আগেই ইলিশের চাহিদা থাকত। কিন্তু এবার চাহিদা নেই বললেই চলে। দাম তুলনামূলকভাবে কম, প্রতি কেজি ৮০০-১৮০০ টাকার মধ্যে, তবুও বিক্রি একেবারেই মন্দা। ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতা শাহারিয়ার হোসেন বলেন, প্রতিবছর বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাই, এটা যেন একটা রীতি হয়ে গেছে। কিন্তু এবার বাজারে ইলিশ মাছের আমদানি তুলনামূলক কম। অন্যবারের চাইতে মাছের বহিরাবরণ ও মান খুব একটা ভালনা। কিন্তু দাম বেশ চড়া। মাঝারি সাইজের একটা ইলিশের দাম চাচ্ছে ১২০০ টাকা। পরিবারের অন্য খরচ সামলে ইলিশ কেনা কষ্টকর। মাছ ব্যবসায়ী সাহেব আলী বলেন, আমি গত ১০ বছর ধরে পহেলা বৈশাখের আগে ইলিশ বিক্রি করি। অন্যান্য বছর এ সময়ে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ত। একদিনেই ২০-৩০ কেজি ইলিশ বিক্রি হতো। এবার সেই চিত্র নেই। দাম কমিয়ে দিয়েছি, তবু ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। আমচত্বর এলাকার মাছের আড়ৎ সংলগ্ন মাছ বাজারের মাইনুল বলেন, বেলা গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলো, ইলিশ মাছের ক্রেতা তেমন একটা নেই। অধিকাংশরা মাছ দেখে চলে যাচ্ছেন। শিউলি আক্তার নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী নারী বলেন, ছুটির দিন স্পেশাল রান্না করবো। বাজার করতে এসেছি। কিন্তু ইলিশের দাম দেখে মন চাইলোনা কিনতে। পান্তা-ইলিশ খাবেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পান্তা-ইলিশে আমাদের আগ্রহ কম। বাচ্চাদের তেমন আগ্রহ নেই বলেই এবার বাড়িতে পান্তা-ইলিশের আয়োজন করিনি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris