মিরপুরে এক মাস প্র্যাকটিস করলে ভালোর চেয়ে খারাপ হওয়ার চান্স বেশি! কথাটা লিটন দাসের। বাংলাদেশ দলকে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, সামনে পাকাপাকিভাবে পেতে চলেছেন টি-২০ দলের অধিনায়কত্ব। সেই লিটনের মারফতে আবারো প্রশ্ন উঠে গেল মিরপুরের পিচের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। দেশের শীর্ষস্থানীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিটন দাবি করলেন, দেশের ক্রিকেটের বাড়ি শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই নাকি বেশি! লিটন বলেন, ‘বাংলাদেশ দলে আসার আগে আমি প্র্যাকটিস করতাম রংপুরে, বগুড়ায়, চট্টগ্রাম, রাজশাহীতেÑসবই খুব ভালো উইকেটে। বিকেএসপিতেও ভালো উইকেট। আপনি ও রকম উইকেটে যখন নিয়মিত খেলবেন, আপনার খেলার প্যাটার্নটাও থাকবে ও রকম। জাতীয় দলে চলে আসার পর আমি প্র্যাকটিস করছি এখানে (মিরপুরে)। এখানকার উইকেটে যদি কোনো খেলোয়াড় এক মাস ব্যাটিং প্র্যাকটিস করে, তার ভালো হওয়ার চেয়ে খারাপ হওয়ার চান্সটা একটু বেশি।’ লিটন জানান, ‘আমি এখানে নিয়মিত প্র্যাকটিস করাতে আমার যে নিজস্ব কিছু শট ছিল, সেই শটগুলো কমে গিয়ে আস্তে আস্তে মনে ডাউট আসা শুরু হয়েছে। ওই ডাউট থেকে আস্তে আস্তে আমার স্কিল লেভেল নিচে নেমে এসেছে।’ লিটনের দাবি, মিরপুরে বল কেমন আচরণ করবে তা বুঝতেই পারেন না ব্যাটাররা। তিনি বলেন, ‘একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে আপনি যদি জানেন বল সুইং হবে, টার্ন করবে, সেটা কিন্তু খুব বড় সমস্যা না। কিন্তু যখন পিচে বল পড়ার বল কী হবে আপনি জানেন না, তাহলে খুব কঠিন। কারণ, একজন ব্যাটসম্যানের জন্য সেকেন্ডেরও কম সময় থাকে। যদি এমন হতো যে এটা শুধু আমার ক্ষেত্রেই হচ্ছে, আমি ম্যানেজ করতে পারছি না, তাহলে ভিন্ন কথা ছিল। সমস্যা তো সবারই হচ্ছে।’ কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার যে পথ্য, তা অন্তত মিরপুরে প্রয়োগ করার পক্ষে নন ৩০ বছর বয়সী এই তারকা। তার যুক্তি, ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট অন্য জিনিস। আমরা যখন বিদেশে খেলতে যাই, আমরা স্ট্রাগল করি না, তা না। তবে সাত-আট দিন করার পর একটু অ্যাডজাস্ট করতে পারি। যদি একদমই করতে না পারতাম, তাহলে আমরা কেউ ওখানে একদমই দাঁড়াতে পারতাম না।’-এফএনএস