স্টাফ রিপোর্টার : পৈত্রিক সম্পত্তি দীর্ঘ দিন উপজেলা চেয়ারম্যানের রষানল থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে পরিবার নিয়ে হুমকির মুখে পড়েছেন শিক্ষার্থী জাহিদ হোসেন পাইক। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে রাজশাহীতে সংবাদ রাজশাহীতে সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেদের উপরে ঘটে যাওয়া অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন শিক্ষার্থী জাহিদ পাইক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন তার পৈত্রিক সম্পত্তি ১৭ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছিলেন দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নজরুলের লোকজন। আওয়ামী লীগের স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রিয়াজুলের হুমকি ধামকিতে আমরা সেই জমিতে যেতে পারি নাই। পরবর্তী সময়ে গত ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে আমরা বেদখলে থাকা জায়গার ১১ বিঘা উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এর পরে অবশিষ্ট ৬ বিঘা জমি চাষাবাদ করতে গেলে তারা আমাদের আবারো নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছেন। জমির গাছ কেটে পানের বরজে আগুন দিয়ে আমাদের পরিবারকে হয়রানি করছে। তিনি আরো বলেন এখনো আমরা আওয়ামী লীগের দোশরদের ভয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। যে কোন সময় আমাদের উপর নেমে আসতে পারে বর্বরতা হামলা। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যারা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভূমি দস্যুতা সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছে তারা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরছেন। ভূমি দস্যু সাবেক রিয়াজুল ইসলামসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর নিকট থেকে রেহাইসহ নিজেদের জমি উদ্ধারে সরকারের সহযোগিতা চান শিক্ষার্থী জাহিদ হোসেন পাইক। সকল অভিযোগের বিষয় নিয়ে জানতে ক্ষিদ্র লক্ষিপুরে গেলে জানা যায় রিয়াজুল ইসলাম চেয়ারম্যান হয়ার পরে পুকুর চাষের অযুহাতে ভূমি দস্যুতার মত একাধিক অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন দখল বাজি অবৈধ পন্থায় পুকুর কখনসহ ডজন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। অপরদিকে দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে এসেন একাধিক ব্যক্তি, তারা বলেন নজরুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে উপজেলার সকল অপকর্মের মদদদাতা হিসেবে কাজ করতেন। মুক্তিযোদ্ধার প্রভাব খাটিয়ে একাধিক পুকুর দখল সরকারি জলাসয়ে প্রভাব খাটিয়ে নিজের দলের লোকজনকে দখল করে দেওয়া আলীশান বাড়ি সব অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। অভিযোগের বিষয় জানতে নজরুল ইসলামকে মুঠো ফোনে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।