শনিবার

১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
বাগমারার সেই প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা কামাল সংক্ষিপ্ত সংস্কার হলে নির্বাচন ডিসেম্বরে, বৃহত্তর হলে আগামী জুনে : ড. ইউনূস রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা কমে যাওয়া উদ্বেগের : গুতেরেস রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা ১০ গ্রেডে ২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা পাবেন ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি আর নেই সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক ও তার স্ত্রীসহ ৪ জনের নামে মামলা ১ লাখ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা-জাতিসংঘ মহাসচিব লালপুরে রাণীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫ হাজার কোয়েল পাখির মৃত্যু রাজশাহী নগরীতে অটোরিকশায় যৌনহয়রানি, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

পত্নীতলায় সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ

Paris
Update : শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

রবিউল ইসলাম, পত্নীতলা : নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার সহজ করতে শুরু হয়েছে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ। বিশেষ এ পদ্ধতিতে কৃষক উৎপাদিত ধানের চারা যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ করবে এবং ধান কাঁটা শেষে ফসল ঘরে তুলতে পারবে। কৃষি বিভাগ বলছে এই পদ্ধতিতে শ্রমিক সংকট ছাড়াও নানা প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। কমবে উৎপাদন খরচও।
উপজেলার পাটিচরা ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায় ট্রে ও পলিথিনে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে এই বীজতলা। চারা হতে সময় নিয়েছে মাত্র ২০ দিন। চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৬৭ জন কৃষক ৫০ একর জমিতে নতুন এই পদ্ধতিতে করেছেন চাষাবাদ। আর এই পদ্ধতির নাম হচ্ছে সমলয় পদ্ধতি। কৃষকরা বলছেন সনাতন পদ্ধতিতে মাটির ধানের চারা রোপণ করতে গিয়ে মাটি ভেঙ্গে বীজতলা নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু সমলয় পদ্ধতিতে ট্রান্সপ্ল্যান্ট এর মাধ্যমে নিখুঁতভাবে চারা রোপণ করা সম্ভব হচ্ছে।
পাটিআমলাই গ্রামের কৃষক মোসাদ্দেক বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে সমলয় আমাদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এই সমলয় পদ্ধতি করার কারণে আমাদের ২০ থেকে ২৫ দিন পর চারা লাগাতে পারতেছি। এতে আমাদের কোন কীটনাশক স্প্রে করতে হয় না। আবহাওয়া জনিত কারণে কোন কিছুই স্প্রে করতে হয় না। পাটিচরা ইউনিয়নের কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, কাঁদা তৈরি করে নিয়ে এই প্লাস্টিক ট্রে আছে ট্রের ভিতরে মাটি সমানভাবে পূরণ করে নিয়ে ১২০ গ্রাম করে ধানের বীজ দেই। এটা পলিথিন দিয়ে বেলি করে ঢেকে রাখি। ঢেকে রাখার পর ২০ থেকে ২২ দিন হলে চারাটা জমিতে লাগাই।
একই গ্রামের কৃষক মাসুদুল হক বলেন, বীজ তলা থেকে শুরু করে রোপন পর্যন্ত আমাদের প্রায় খরচ হয়ে যায় তিন থেকে চার টাকা হাজার টাকা। সেখানে আমরা যদি আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করি সেক্ষেত্রে খরচ এক হাজার টাকা। রসকানাই গ্রামের কৃষক রশিদুল হক বলেন, লেবার দিয়ে করতে হলে একটা বিঘাতে তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ হয়। আর এখানে খরচ হচ্ছে পাঁচশো টাকার মতো
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ শরিফুর রহমান বলেন, এখানে আমরা ট্রেতে চারা উৎপাদন করি। চারা আমরা ২৫ দিনের মধ্যে চারা সম্পন্ন করতে পারছি। চারা খুব ভালো হয়েছে। আজকে জমিতে চারা রোপন করা হচ্ছে এতে উৎপাদন খরচ কম লাগবে এবং শ্রমিক খরচ কম লাগবে। পত্নীতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সোহরাব হোসেন জানান, আমরা কৃষকদেরকে যান্ত্রিক করণের জন্য আহ্বান জানাবো আগামীতে তারা যেন চারা করাটা বিশেষ করে ট্রেতে করে এবং পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দেওয়া এই যে একটা প্রযুক্তি এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে সর্বোপরি লাভবান হবে। চারাটা থেকে যে আমরা ফলনটা পাবো আগের সনাতন চেয়ে বেশি হবে। শুধু তাই নয় এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে শ্রমিকদের প্রয়োজন নেই। তাই খরচও নেমে এসেছে অর্ধেকে। সমালয় এই পদ্ধতির মাধ্যমে জমিতে ধান রোপণ করে লাভবান হবেন। এমনটাই প্রত্যাশা কৃষকদের।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris