শুক্রবার

১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

১লা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন খালেদা জিয়া, ফিরবেন ঈদ করেই ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা আছে : প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা উচিত নয় : জাতিসংঘ কৃষকের গলার কাঁটা উৎপাদিত আলু! ‘নতুন বাংলাদেশের’ সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হত্যা চেষ্টার মামলায় জামিন নামঞ্জুর জাবের আলীকে জেলে প্রেরণ বিএনপি’র উদারতায় জামায়াতে ইসলামী এদেশে রাজনীতির সুযোগ পায় : রিজভী যমুনা রেলসেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু বিক্ষোভকারীদের দমাতে প্রাণঘাতি বলপ্রয়োগের নির্দেশ দেয় সরকার : জাতিসংঘের প্রতিবেদন পত্নীতলায় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নায়নে গরু বিতরণ

বাগমারার উন্নয়নে নেই পর্যপ্ত বরাদ্দ, কমেছে কাজের গতি

Paris
Update : বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫

শামীম রেজা : রাজশাহীর সবচেয়ে বড় উপজেলা হচ্ছে বাগমারা। বড় উপজেলা হলেও নেই তেমন উন্নয়ন। চাহিদার তুলনায় উন্নয়ন হয়েছে কম। তবে যেটুকু উন্নয়ন দৃশ্যমান তা বিগত সরকারের সময়ে হয়েছে। সরকার পদত্যাগ করার সাথে সাথে থেমে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে উন্নয়নের চাকায়। বিগত সময়ে উন্নয়ন কাজে যে পরিমান বরাদ্দ এসেছে তা কেবলই অতীত। গত বছরেও উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে রাস্তা-ঘাট সহ অন্যান্য উন্নয়নে কাজ হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকার। উপজেলা সদরের সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকলেও নেই প্রত্যন্ত এলাকার সাথে ইউনিয়নের।
উপজেলা জুড়ে বর্তমানে কাজ হচ্ছে মাত্র ১০ কোটি টাকার। চাহিদার তুলনায় এমনিতেই বরাদ্দ কম তার উপরে নামমাত্র বরাদ্দ। সে কারণে উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে মন্থর গতি। এখন নামেই চলছে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর। উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নে যে সকল প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ হয়ে থাকে সেখানে নেই পর্যাপ্ত আর্থিক বরাদ্দ। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাগমারায় প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার পাকা রাস্তা চাহিদা। সেখানে রয়েছে মাত্র সাড়ে ৩০০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা। সে হিসেবে এখনো অনেক উন্নয়ন পড়ে আছে। উপজেলা জুড়ে উন্নয়নের সিংহভাগ কাজ গত ১৫ বছরে সংগঠিত হয়েছে। এখন নির্বাচিত সরকার না থাকায় উন্নয়নে নেই চাহিদা মতো বরাদ্দ। সেই সাথে বরাদ্দ কম হওয়ায় চলমান কাজেও এসছে স্থবিরতা। অর্থ সংকটে নতুন করে উন্নয়ন শুরু করতে পারছেনা উপজেলা প্রকৌলশীর দপ্তর।
উপজেলার উন্নয়নের মধ্যে রাস্তা-ঘাট, বাজারের উন্নয়ন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন সহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ব্রীজ, মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়ন প্রভুত কাজ হয়ে থাকে এলজিইডির মাধ্যমে। বাগমারায় প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষাধিক লোকের বসবাস। ১৬টি ইউনিয়ন আর ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিক বাগমারা উপজেলা। উপজেলা প্রত্যন্ত এলাকায় এখানো লাগেনি তেমন আধুনিকতার ছোঁয়া। উন্নয়ন কর্মংযজ্ঞ কমে যাওয়ায় এর সাথে জড়িত ঠিকদার সহ লেবাররা পড়েছেন বিপাকে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে হাজারো শ্রমজীবী মানুষ। কাজ কমে যাওয়ায় কোটি কোটি টাকায় কেনা যন্ত্রাংশ পড়ে রয়েছে ঠিকাদারদের।
আব্দুল জব্বার নামের এক ঠিকাদার বলেন, সারাবছর ধরে কাজ করতাম। সেই কাজ এখন নেই বললেই চলে। ঠিকাদারী কাজে অনেক লোকজনের প্রয়োজন পড়ে। কাজের চাপ না থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে লোকজন। এ ব্যাপরে উপজেলা প্রকৌশলী খলিলুর রহমান বলেন, বিগত সময়ে অনেক বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বর্তমানে অনেক কম বরাদ্দ পাওয়ায় চাহিদার তুলনায় অনেক কমে গেছে। চলমান অনেক প্রকল্পের কাজ বন্ধ আছে। প্রতিটি কাজেই মন্থর গতি। যে টুকু বরাদ্দ পাওয়া যায় তা দিয়ে সামান্য কাজ হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এই অবস্থা কেটে যাবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris