স্টাফ রিপোর্টার, সাবাইহাট : রাজশাহী মোহনপুরে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজাতে নিষেধ করায় তিন জনকে পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা ও মোহনপুর থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, দুই জানুয়ারি রায়ঘাটি ইউনিয়নের বড়াইল গ্রামের কয়েকজন বকাটে গভীর রাতে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজাচ্ছিল। বড়াইল গ্রামের মফিজ উদ্দীনের পুত্র এবং বড়াইল টাঙ্গন পশ্চিম পাড়া মসজিদের সেক্রেটারি আলামিন তাদের নিষেধ করেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। পারিবারিক ও পূর্ব বিরোধের জেরে গত ৩ জানুয়ারি সকালে ক্ষিপ্ত হয়ে একই গ্রামের শামীম হোসেন, মাসুদ রানা উভয়ের পিতা মাহাবুর রশীদ, সোহেল রানা মিঠু পিতা ইসরাইল আলী, মাহাবুর রশীদ পিতা মৃত মজের আলী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা একযোগে ভিকটিম আলামিনের বাড়ীতে গিয়ে হামলা চালায়। তারা সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় অস্ত্রপাতি নিয়ে আলামীনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আলামীনের ডাক চিৎকারে তার বাবা, ভগ্নিপতি এগিয়ে এলে তাদেরও এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। পরে তাদের মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়। বাবা, ভগ্নিপতিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছুটি দেয়া হয়। আলামীনের অবস্থা বেগতিক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চার দিন চিকিৎসার শেষে আলামিনকে রিলিজ দেয়া হয়।
তারা কেবল মেরেই ক্ষান্ত হননি। আলামীনের ফসলের ক্ষেত নস্ট করেছে। খেজুর গাছের রস ডেলে নিয়েছে। এমন কী খেজুর গাছের নিচে ভুলে একটি মোবাইল ফোন ফেলে যায়। গ্রাম্য মাতবরদের তা দেখিয়ে বিচার দাবী করলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়। এ ঘটনায় শামীম ও মাসুদ নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে মোহনপুর থানা পুলিশ। অপর বিবাদীরা জামিনে বের হয়ে এসে ভিকটিম আলামিনের পরিবারের সদস্যদের মিথা মামলায় ফাঁসানো ও নানা ভাবে হুমকিধামকি দিয়ে আসছে বলে সূত্র জানায়। পরিবারের সদস্যরা আতংকের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে। সূত্র আরও জানায়, আলামিনের অবস্থা বেগতিক হওয়ায় (১৪ জানুয়ারি) রাজশাহীতে আবারও চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে। হাতুড়ির আঘাতে কাঁধের হাড় ভেঙ্গে গেছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। ভিকটিমকে মারধরের একটি ফুটেজ এই প্রতিবেদকের কাছে এসে পৌঁছেছে। সেখানে হাঁসুয়া, দা, হাতুড়ি হাতে চড়াও হয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান মুঠোফোনে দু’জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।