শুক্রবার

১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

১লা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন খালেদা জিয়া, ফিরবেন ঈদ করেই ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা আছে : প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা উচিত নয় : জাতিসংঘ কৃষকের গলার কাঁটা উৎপাদিত আলু! ‘নতুন বাংলাদেশের’ সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হত্যা চেষ্টার মামলায় জামিন নামঞ্জুর জাবের আলীকে জেলে প্রেরণ বিএনপি’র উদারতায় জামায়াতে ইসলামী এদেশে রাজনীতির সুযোগ পায় : রিজভী যমুনা রেলসেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু বিক্ষোভকারীদের দমাতে প্রাণঘাতি বলপ্রয়োগের নির্দেশ দেয় সরকার : জাতিসংঘের প্রতিবেদন পত্নীতলায় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নায়নে গরু বিতরণ

শিক্ষার্থীদের তিনটি নতুন বই দিয়ে শুরু করার পরিকল্পনা এনসিটিবি’র

Paris
Update : শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫

শিক্ষার্থীদের হাতে তিনটি নতুন ঊন দিয়ে শিক্ষাবর্ষ শুরু করার পরিকল্পনা করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। কারণ এখনো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিপুলসংখ্যক বই ছাপার কাজ শেষ করা যায়নি। মোট ৪০ কোটিরও বেশি বইয়ের মধ্যে মাত্র পৌনে ৫ কোটি বই উপজেলা পর্যায়ে পাঠানোর জন্য ছাড়পত্র বা পিডিআই হয়েছে। ফলে এবার নতুন বছরের প্রথম দিনে সারা দেশে সব শিক্ষার্থী সব বই পাবে না। আর বই ছাপার যে পরিস্থিতি, তাতে এনসিটিবির ওই পরিকল্পনাও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এনসিটিবি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ নিয়ে এবার কোনো উৎসব হবে না। এবার প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ের সংখ্যা ৯ কোটি ৬৪ লাখের মতো। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ছাপা হয়েছে ৪ কোটি ৩৫ লাখেরও বেশি বই। তা থেকে ৩ কোটি ৪৭ লাখের মতো বইয়ের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। আর মাধ্যমিকে (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) মোট বইয়ের সংখ্যা ৩০ কোটি ৯৬ লাখের মতো। এর মধ্যে ১ কোটি ৩২ লাখের মতো বইয়ের ছাড়পত্র হয়েছে। আরো বিপুলসংখ্যক বইয়ের ছাড়পত্র হয়ে হবে। মূলত কাগজের সংকট, পুনরায় দরপত্র ও কার্যাদেশ দেয়াসহ আনুষঙ্গিক কাজগুলোতে এনসিটিবি দেরি করেছে। ফলে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব বই তুলে দিতে। সূত্র জানায়, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল হয়ে গেছে। বরং বর্তমান সরকার এক যুগ আগে তৈরি পুরোনো শিক্ষাক্রমের আলোকে পাঠ্যবই দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেজন্য এনসিটিবি এবার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ৪৪১টি বই পরিমার্জন করে। আর ওই প্রক্রিয়ায় পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তুতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। পাঠ্যবইয়ে বেশ কিছুসংখ্যক গদ্য, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও কবিতা বা বিষয়বস্তু বাদ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে স্থান পেয়েছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিষয়বস্তুসহ নতুন কিছু গল্প-কবিতা। পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ায় এবার মোট বইয়ের সংখ্যাও বাড়ছে। এসব কারণে পাঠ্যবই ছাপা নিয়ে এবার সমস্যা হয়েছে। মূলত শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করে বইগুলো পরিমার্জন করতে দেরি হয়েছে। সূত্র আরো জানায়, প্রাথমিকের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবই ছাপায় অগ্রগতি ভালো। তবে চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপার অগ্রগতি খুবই কম। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিক্ষাক্রম পরিবর্তন, পাঠ্যবই পরিমার্জন, আগের দরপত্র বাতিল করে নতুন দরপত্র দেয়া, দেরি করে পরিদর্শন প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করাসহ ছাপাসংক্রান্ত কাজে বিলম্বের কারণে এবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমনকি এখনো বেশ কিছু পরিমাণ বই ছাপার জন্য মুদ্রণকারীদের সঙ্গে চুক্তিপত্র সইয়ের কাজটিও শেষ হয়নি। ফলে ফেব্রুয়ারির আগে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব বই পৌঁছানো কঠিন হবে। তবে প্রথম দিনে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি করে বই বছরের যাবে। ওসব শ্রেণির আরো ৫টি করে বই ১০ জানুয়ারির মধ্যে যাবে। বাকি বইগুলো ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে যাবে। এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান জানান, বছরের প্রথম দিনেই সব শিক্ষার্থী অন্তত তিনটি করে বই পাবে। এর মধ্যে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ের কিছু বইও পাবে। ৫ জানুয়ারির মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির সব বই পৌঁছে যাবে। ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি করে বই বছরের প্রথম দিনে যাবে। ওসব শ্রেণির আরো ৫টি করে বই ১০ জানুয়ারির মধ্যে যাবে। বাকি বইগুলো ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে যাবে।-এফএনএস


আরোও অন্যান্য খবর
Paris