স্টাফ রিপোর্টার, দুর্গাপুর : রাজশাহীর দুর্গাপুরের কুহাড় গ্রামে মসজিদ কমিটির কাছে বিএনপি নেতার দাবি করা চাঁদা না দেওয়ার কারণে আজিম উদদীন (৫৫) নামের এক মসজিদের ইমামকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ৩ (অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার কুহাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নবী(৪৬) নামের একজনকে ধাওয়া দিয়ে আটক করেন প্রতিবেশীরা এবং পরে তাঁকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় দুর্গাপুর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আহত মসজিদের ইমাম আজিম উদ্দীন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কুহাড় মোড় জামে মসজিদের ইমাম আহত আজিম উদ্দীন বলেন, যোহরের নামাজের উদ্দেশ্য মসজিদে যাওয়া সময় উপজেলার কুহাড় গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুজ্জামান আয়নাল এর নেতৃত্বে পূর্বের শক্রতার জের ধরে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান আয়নাল এর নেতৃত্বে একই এলাকার মৃত.নিরুর ছেলে আলী, নবী ও আলীর ছেলে সালাউদ্দিন সহ অজ্ঞত ১০-১২ জন সন্ত্রাসী আমার উপর অর্তকিত হামলা চালায়। পরে চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমাকে বেঁধে রেখে নির্যাতন চালায়। পরে সেনাবাহিনী ও দুর্গাপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা আমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। তিনি আরো বলেন, এর আগে গত বুধবার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আইনাল এর বিরুদ্ধে চাঁদাদাবির অভিযোগ এনে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার কারনে তারা আমার উপর আরো বেশি ক্ষুদ্ধ হয়ে অমানবিক নির্যাতন চালায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান আয়নাল এর নেতৃত্বে উপজেলা জুড়ে চলছে নিরব চাঁদাবাজি। চাঁদা না দিলে নির্যাতন করা হয়। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পান না। এই চাঁদাবাজ গ্রুপটির বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা এবং সেবনেরও অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া হামলার সাথে জড়িত আলীর বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানা সহ আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, উপজেলার কুহাড় গ্রামে সালাউদ্দিন নামের মসজিদের ইমামকে আটকে নির্যাতনের খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় হামলার সাথে জড়িত নবী নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।