পবা প্রতিনিধি : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে চলেছে আগামী ৯ অক্টোবর। সেই লক্ষে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির প্রস্তুতি। এবার পবা উপজেলায় একটি পৌরসভাসহ ছয়টি ইউনিয়নে মোট ২১টি মন্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দূর্গাপূজা। সেই লক্ষ্যে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পরিষদের সভাকক্ষে পূজা উদযাপন কমিটির আয়োজনে মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান হয়েছে। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহরাব হোসেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহরাব হোসেন জানান, আগামী ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপুজা। সেই লক্ষে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির প্রস্তুতি। এবার পবা উপজেলায় একটি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে মোট ২১টি মন্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে হবে শারদীয় দূর্গাপূজা। এর মধ্যে নওহাটা পৌরসভায় ১২ টি মন্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে। এছাড়াও হুজুরীপাড়া, পারিলা ও দামকুড়া এই তিনটি ইউনিয়নে ২টি করে মন্ডপে এবং বড়গাছী, হড়গ্ৰাম ও হরিয়ান ইউনিয়নে একটি করে মন্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে। এসময় তিনি আরো জানান সুষ্ঠু সুন্দর, উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন নিশ্চিত করবার জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, উপস্থিত জনপ্রতিনিধি আনসার, গ্রামপুলিশ, স্বেচ্ছাসেবকগণসহ আমরা সকলেই সতর্ক এবং সচেষ্ট আছি। তিনি পূজা উদযাপনকারীসহ সকলকে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা,নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল মন্ডপে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিমা বিসর্জ্জন নিশ্চিত করতে সকলকে অনুরোধ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. জাহিদ হাসান রাশেল, আরএমপির শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম, আরএমপির কাশিয়াডাঙা থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হাসান হড়গ্ৰাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবুল কালাম আজাদ, নওহাটা সরকারি মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ওমর আলী, হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা, পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাঈদ আলী মোর্শেদ। মতবিনিময় সভা থেকে আরো জানা গেছে, পবা উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে মোট ২১ টি পূজা মন্ডপে দূর্গাপূজা উদযাপনের আয়োজন করবে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পবা শাখা। পূজা মন্ডপগুলো হলো- নওহাটা পৌরসভায় শ্রী শ্রী শিব কালি মাতা মন্দির, মাতৃ দূর্গা মন্দির, নওহাটা রাজ-রাজেশ্বরী দূর্গা মন্দির, নওহাটা জাগরনী ক্লাব দূর্গা মন্দির, নওহাটা শ্বশান ঘাট নীহারিকা দূর্গা মন্দির, নওহাটা নবরূপ ক্লাব দূর্গা মন্দির, নওহাটা লায়ন ক্লাব দূর্গা মন্দির, মহানন্দখালি দূর্গা মন্দির, বসন্তপুর বারোয়ারী দূর্গা মন্দির, বায়া নব-যাগরণ দূর্গা মন্দির, বায়া শ্রী শ্রী দূর্গা মাতা মন্দির, তকিপুর কালি মন্দির। এছাড়াও হুজুরীপাড়া ইউনিয়নে ধর্মহাটা সার্বজনীন দূর্গা মন্দির ও দারুশা দূর্গা মন্দির, দামকুড়া ইউনিয়নে মেদবাড়ী কালি মন্দির ও শিতলাই মেদবাড়ী শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির, পারিলা ইউনিয়নে গোলাপ দেব ঠাকুর মন্দির ও পান্থাপাড়া কালি মন্দির, বড়গাছী ইউনিয়নে দাদপুর গোবিন্দ মন্দির, হড়গ্ৰাম ইউনিয়নে কাশিয়াডাঙ্গা শ্রী শ্রী কালী মাতার মন্দির, হরিয়ান ইউনিয়নে শিব মন্দিরে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পবা উপজেলা শাখার আহবায়ক শ্রী প্রদীপ কুমার সাহা জানান, দুর্গা পূজা শুরু হতে চলেছে আগামী ৯ অক্টোবর। সেদিন মহাষষ্ঠী। এই বছর দেবী পালকিতে করে মর্ত্যে আসবেন ও হাতিতে বিদায় নেবেন। এছাড়াও ২২ আশ্বিন (৯ অক্টোবর) মহাষষ্টি, ২৩ আশ্বিন (১০ অক্টোবর) সপ্তমী, ২৪ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) মহাঅষ্টমী, ২৫ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) নবমী ও দশমী অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরো জানান, আমরা প্রতিটি পূজা মন্দিরের কমিটিকে বলেছি- প্রতিমার রং করা পর্যন্ত নিজ নিজ এলাকার স্বেচ্ছাসেবকদের কমিটি করে পাহারা দিতে। আমরা বার বার তাদের সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করেছি। তারা সেই অনুযায়ী কাজ করছে।