বৃহস্পতিবার

১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
আজ প্রথম টেস্টে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা বিচারকের অভাবে কাটছে না লাখ লাখ মামলার জট পবার ইউএনওকে ইউপি চেয়ারম্যানদের ফুলেল শুভেচ্ছা নওগাঁর এক ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গড়েছেন কয়েক কোটির টাকার সম্পদ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ ও অবসরের ৬৫ বছর বিবেচনার অনুরোধ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নেলসন ম্যান্ডেলা পিস এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে মনোনীত হয়েছেন সাংবাদিক শিশির বাংলাদেশকে বাড়তি ২ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলো বিশ্বব্যাংক ক্ষমতাপালা বদলের জন্য গণঅভ্যুত্থানে আসেনি : আসিফ দশবছর এমপি গিরিতে’ই ৫০০ কোটি টাকার মালিক সাবেক প্রতিমন্ত্রী দারা! শোভাযাত্রায় রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ বিএনপি’র

যৌক্তিক সময়েই নির্বাচন হবে : ড. ইউনুস

Paris
Update : শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪

আরা ডেস্ক : যৌক্তিক সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। শনিবার (৩১ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে অযৌক্তিক সময় নষ্ট করবে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আসন্ন দুর্গা পূজায় কেউ যাতে নৈরাজ্য করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে ইসলামি দলগুলোর প্রতি এসময় আহ্বান জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দেশ সংস্কার প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব আহ্বান করে অন্তর্র্বতী সরকার। তারই প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলো সাথে মতবিনিময় সভায় বসলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে সাত ইসলামী দলের নেতারাড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে সাত ইসলামী দলের নেতারা উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিনদিন পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব বুঝে নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ। আওয়ামী লীগকে বাদ রেখে অন্যান্য দল ও সেনাবাহিনী আলোচনা করে এই সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সিরিজ বৈঠকের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ইসলামি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শনিবার বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক শুরু হয়। বিকেল ৩টা থেকে পৌনে ৪টা পর্যন্ত আলাদাভাবে খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, হেফাজতে ইসলামী, জমিয়তে উলামে ইসলামী, খেলাফত আন্দোলন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ও নেজামী ইসলামের নেতাদের যমুনায় প্রবেশ করে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন চরমোনাই পীর মাওলানা রেজাউল করীম। প্রতিনিধিদলে ছিলেন মুফতি ফয়জুল করীম, অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও আশরাফুল আলম। খেলাফত মজলিশের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ। প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির মহাসচিব অধ্যাপক আহমেদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মুনতাসীর আলী ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক কাজী মিনহাজুল ইসলাম মিলন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নেতৃত্ব দেন দলটির আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ। প্রতিনিধিদলে ছিলেন মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন। জমিয়তে উলামে ইসলামের একাংশের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি। হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব দেন মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও কেন্দ্রীয় নেতা মুনীর হোসেন কাশেমী। নেজামী ইসলামের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আশরাফুল হক। তার সঙ্গে ছিলেন মহাসচিব মাওলানা মোমিনুল ইসলাম। খেলাফত আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন নায়েবে আমির মাওলানা মজিবুর রহমান হামেদি।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে যেসব দাবি : প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বেশকিছু সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে, উল্লেখ করে মামুনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার আনার দাবি জানিয়েছি। সংবিধানে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে এবং ইসলামবিরোধী কোনো আইন যেন না আসে। দুই বারের অধিক যেন কেউ প্রধানমন্ত্রী না হন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে করতে হবে, এ দাবি জানিয়ে মাওলানা মামুনুল হক আরও বলেন, কালবিলম্ব না করে সব হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করার দাবি জানিয়েছি এবং হেফাজত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সব মামলা এক মাসের মধ্যে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছি। আগামী দিনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা যে আহ্বান জানিয়েছেন, সে বিষয়ে মামুনুল হক বলেন, সহযোগিতার বিষয়ে আমরা সাড়া দিয়েছি। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যেন নির্বাচন দেওয়া হয়। কালবিলম্ব যেন না করা হয়, সে দাবিও জানিয়েছি। তবে, প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি আমাদের পক্ষ থেকে।
ইসলামী দলগুলোর পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময় করতে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা ১১ দলীয় জোটসহ আরও কয়েকটি দল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে যায়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এসব মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপির সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ মতবিনিময়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দীন আহমেদ অংশ নেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris