বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটা নিয়ে কাজ করবো। রাতারাতি সম্ভব নয়, তবে চেষ্টা করলে কয়েক মাসের মধ্যেই রিজার্ভ বাড়ানো যাবে। বুধবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে বর্তমান মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এবং মূল্যস্ফীতি সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠকে আলোচনায় অংশ নিয়ে নতুন এই গভর্নর বলেন, রিজার্ভ বাড়াতে গেলে এর অনেক চিপাগলি আছে, সেখানে মনোযোগ দিতে হবে। এজন্য পণ্য আমদানির দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। অতি প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া আমদানি করা হবে না বলেও জানান তিনি। এসময় বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, উৎপাদন, চাঁদাবাজি এবং সরবরাহ এই তিনটিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করবো, এগুলো করতে পারলে আগামী ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে জিনিসপত্রের দাম কমবে। গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা টাকা পাচার করেছে এবং টাকা পাচার করে, তারা পৃথিবীর কোনো দেশেই সুখে-শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না। দেশীয় আইনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইনেও তাদের নাজেহাল করা হবে বলে জানান তিনি। আহসান এইচ মনসুর বলেন, পাচার করা টাকা ফেরত আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। টাকা ফেরত এলে তো ভালো, না এলেও টাকা পাচারকারীরা শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না। শুধু সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক একা নয়; আন্তর্জাতিক মহলের সহায়তা নিয়ে অর্থপাচারকারীদের ধরতে হবে উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, আমরা এমন একটা সিচুয়েশন তৈরি করবো, যারা টাকা নিয়ে গেছে তারা যেন কষ্টে থাকে। তারা টাকার বিছানায় বালিশ দিয়ে যেন ঘুমাতে না পারে; এই ব্যবস্থা করবো। একটু দৌড়াদৌড়ির মধ্যে থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন এখন কিছুটা সহায়ক আছে, এটাকে কাজে লাগাতে হবে। টাকা আসুক আর না আসুক, তাদের কষ্টে রাখবো। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবও উপস্থিত ছিলেন।-এফএনএস