বৃহস্পতিবার

১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
আজ প্রথম টেস্টে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা বিচারকের অভাবে কাটছে না লাখ লাখ মামলার জট পবার ইউএনওকে ইউপি চেয়ারম্যানদের ফুলেল শুভেচ্ছা নওগাঁর এক ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গড়েছেন কয়েক কোটির টাকার সম্পদ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ ও অবসরের ৬৫ বছর বিবেচনার অনুরোধ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নেলসন ম্যান্ডেলা পিস এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে মনোনীত হয়েছেন সাংবাদিক শিশির বাংলাদেশকে বাড়তি ২ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলো বিশ্বব্যাংক ক্ষমতাপালা বদলের জন্য গণঅভ্যুত্থানে আসেনি : আসিফ দশবছর এমপি গিরিতে’ই ৫০০ কোটি টাকার মালিক সাবেক প্রতিমন্ত্রী দারা! শোভাযাত্রায় রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ বিএনপি’র

শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ নামে এক মুদি দোকানদার হত্যার অভিযোগে মামলার আবেদন করেন, যেটি সংশ্লিষ্ট মোহাম্মদপুর থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি এই মামলার আবেদন করেন। পরে মামলাটিতে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদেশের জন্য রাখেন। বেলা ২টা ২৩ মিনিটের দিকে মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে মামলাটি মোহাম্মদপুর থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আবেদনে মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি হারুন-অর-রশীদ ও অতিরিক্ত যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার। গত ১৯ জুলাই বিকাল ৪টায় মোহাম্মদপুর থানাধীন বসিলা ৪০ ফিট চৌরাস্তা এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে মিছিলে পুলিশের গুলিতে আবু সায়েদ নামে ওই ব্যক্তি নিহত হন। মামলার আরজিতে বলা হয়, সম্প্রতি কোটা সংস্কারের জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়েছে। গত ১৮ জুলাই থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গতি সঞ্চার হয়। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনকে দমানোর জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার দমনপীড়ন শুরু করে ১ ও ২ নম্বর আসামির (শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের) নির্দেশে পুলিশ বাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। আবেদনে আরও বলা হয়, বিগত ১৯ জুলাই বিকাল ৪টার সময় মোহাম্মদপুর থানাধীন বসিলা ৪০ ফিট চৌরাস্তায় হাজার হাজার ছাত্র জনতা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করছিল। সেই আন্দোলন দমনের জন্য পুলিশ নির্বিচারে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায়। এ সময় মোহাম্মদপুর বসিলা ৪০ ফিট চৌরাস্তায় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ (৪৫), পিতা-অজ্ঞাত, রাস্তা পার হয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। তার মাথার এক পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন জানায় আবু সায়েদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার পর স্থানীয়রা তার লাশ গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাড়োয়া বামনহাট ইউনিয়নের নতুন বস্তি প্রধানহাটে পাঠিয়ে দেয় এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হয়। আরজিতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে কোনো মামলা হয় নাই। যেহেতু সুদূর পঞ্চগড়ে নিহত আবু সায়েদের গ্রামের বাড়ি এবং তার পরিবার অত্যন্ত গরিব। তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না। এ কারণে সচেতন নাগরিক হিসেবে অত্র বাদি আবু সায়েদকে হত্যার বিচার দাবি করে এ মামলা দায়ের করলেন। এতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল। কোনো প্রকার উস্কানি ছাড়া পুলিশ আর্জির বর্ণিত আসামিদের নির্দেশে অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা গুলি করে আবু সায়েদকে হত্যা করেছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ১ নম্বর আসামি আন্দোলন চলাকালে শক্ত হাতে দমন করার নির্দেশ দিয়েছেন। ২ নম্বর আসামি ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে আন্দোলন দমনের নির্দেশ দিয়েছে। ৩ নম্বর আসামি সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ৪ নম্বর আসামি হারুন-অর-রশীদ এবং ৬ নম্বর আসামি বিপ্লব কুমার আন্দোলন ও ৭ নম্বর আসামি বিপ্লব কুমার ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে তাদের অধীনস্ত পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং ৫ নম্বর আসামি আসাদুজ্জামান খান কামাল পুলিশকে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি করার নির্দেশ দেয়। অন্যান্য অজ্ঞাতনামা পুলিশ কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর নির্দেশে হত্যাকাণ্ড ঘটে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার নিরীহ ছাত্র-জনতাকে আসামিগণ পরস্পর যোগসাজসে হত্যা করে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া আবশ্যক। বিধায় বাদী অত্র মামলা দায়ের করলেন। আবু সায়েদ হত্যার তদন্ত হলে অজ্ঞাতনামা আরও তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পুলিশের সদস্যদের নাম উঠে আসবে।-এফএনএস


আরোও অন্যান্য খবর
Paris