যুক্তরাষ্ট্রে আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে প্রথম বারের মতো টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখি হচ্ছেন জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার) এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। বিতর্কে দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি তাদের বয়স এবং মানসিক যোগ্যতা। এ ছাড়া মুদ্রাস্ফীতি, অভিবাসী ও গর্ভপাত ইস্যুও গুরুত্ব পাবে। আটলান্টায় অনুষ্ঠেয় ৯০ মিনিটের বিতর্ক সভায় কোনো শ্রোতা উপস্থিত থাকবেন না। তার পরও দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর বক্তৃতায় ক্ষেত্রেও কড়া সময়সীমা থাকবে। জো বাইডেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী। জনমত জরিপ বলছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো বিতর্কেও দুই প্রার্থীর লড়াই হবে সমানে সমান। লিবার্টারিয়ান পার্টির নেতা তথা চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্দলীয় প্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র এই বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন না। প্রসঙ্গত, মে মাসে লিবার্টারিয়ান পার্টির সম্মেলনের মঞ্চে ‘আমন্ত্রিত’ হিসাবে হাজির ছিলেন ট্রাম্প এবং বাইডেন। কিš’ এ বারের নির্বাচনে এই প্রথম বার মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিতে চলেছেন তারা। জনমত সমীক্ষা আভাস দিয়েছে, বাইডেনের তুলনায় সামান্য এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে আটলান্টায় সিএনএন আয়োজিত বিতর্কসভায় বাইডেন তার বক্তৃতায় ট্রাম্পের আমলের করোনা মহামারি সামলাতে ব্যর্থতা, আর্থিক ঘাটতি, ‘স্বৈরতন্ত্র’ ‘মিথ্যাচার’ এবং ক্যাপিটল হিলে হামলার মতো প্রসঙ্গ তুলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বাইডেনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের প্রচারের প্রধান অস্ত্র হতে পারে মুদ্রাস্ফীতি তথা জিনিসপত্রের উচ্চমূল্য, জাতীয় নিরাপত্তায় অবহেলা, ‘কূটনৈতিক ব্যর্থতা এবং আমেরিকার আদি বাসিন্দাদের স্বার্থরক্ষায় অনীহা। উল্লেখ্য, ১৯৫৬ সালে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী অ্যাডলাই স্টিভেনসনকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন রিপাবলিকান নেতা ডুইট ডি আইজেনহাওয়ার। সেটা ছিল দেশটির রাজনীতির ইতিহাসে শেষ বারের মতো একই প্রার্থীর দ্বিতীয় বার মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা। প্রথম বারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও মুখোমুখি হয়েছিলেন স্টিভেনসন এবং আইহেনহাওয়ার। সেটা ছিল ১৯৫২ সালের নির্বাচন। সূত্র : রয়টার্স ও নিউ ইয়র্ক টাইমস/এফএনএস