স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে শুরু হয়েছে গুটি জাতের আম পাড়া। এর মধ্যে দিয়ে বাজারে উঠছে এই মৌসুমের প্রথম আম। তবে ২৫ মে থেকে শুরু হবে সেরা জাতের আম পাড়া। বুধবার (১৫ মে) থেকে রাজশাহীর বাজারে গুটি আম পাওয়া যাবে। এদিন সকালে রাজশাহী নগরী ও আশপাশের এলাকা ঘুরে আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা আম পাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে গুটি আম এখনও ভালোভাবে পরিপক্ব না হওয়ায় সব বাগানে পাড়া শুরু হয়নি। নগরীর কুখন্ডী ও বুধপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাগানে অল্পসংখ্যক চাষি ও ব্যবসায়ী আম পাড়ছেন। তাদের দাবি, এখনো বাগানে গুটি জাতের আম সেভাবে পাকা শুরু হয়নি। তবে সময় ঘনিয়ে এসেছে, এখন গুটি জাতের সঙ্গে অন্য জাতের আমও পাকা শুরু হবে।
আম ব্যবসায়ী নাজিম আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসকের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী আজ থেকে গুটি আম নামানো শুরু হয়েছে। দুপুরে রাজশাহীর বানেশ্বর হাটে আম নিয়ে যাব বিক্রির জন্য। তবে প্রথম দিন খুব বেশি আম পাড়ার পরিকল্পনা নেই। হাবিব নামে এক চাষি জানান, সকালে রাজশাহী নগরীর বুধপাড়ায় গুটি জাতের আম নামানো হচ্ছে। এর পরে তারা রাজশাহীর কোর্ট এলাকার একটি বাগানের তিনটি গাছের আম পাড়বেন। দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আজকে প্রথম দিন। তাই আমের দাম ঠিকঠাক বলা যাচ্ছে না। আশা করছি ভালো দাম পাব। কারণ গত বছরের থেকে এবার আম কম ধরেছে।
এর আগে গত বুধবার (১২ মে) রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আম সংগ্রহ, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাত মনিটরিং সংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আম পাড়া বিষয়ে। সভায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কৃষি বিভাগসহ আম সংশ্লিষ্ট বিভাগের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বছর গোপালভোগ বা রানিপসন্দ ২৫ মে, লক্ষ্মণভোগ বা লখনা ৩০ মে এবং একই তারিখে হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি গাছ থেকে নামানো যাবে। এ ছাড়া ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া ও ব্যানানা আম; ১৫ জুন আমরুপালি এবং একই তারিখে ফজলি, ৫ জুলাই বারি-৪ আম, ১০ জুলাই আশ্বিনা, ১৫ জুলাই গৌড়মতি ও ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি আম নামানো যাবে। এ ছাড়া কাটিমন ও বারি-১১ আম সারা বছর সংগ্রহ করা যাবে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মোছা. সাবিনা বেগম বলেন, রাজশাহীতে গুটি জাতের আম পাড়া শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জাতের আম পাড়া হবে। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজশাহী জেলায় আমের সম্ভাব্য উৎপাদন ২ লাখ ৬০ হাজার ৩১৫ টন। এ বছর আমের আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে। যার গড় ফলন ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ২৮ টন।