এফএনএস
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে আজ বুধবার বিকেল ৫টায় বৈঠকে বসবে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ৭টার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। ওই ভাষণে তফসিল সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ৬ জানুয়ারি ভোট হতে পারে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৪৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে পুলিশ। গত নির্বাচনে পুলিশ চেয়েছিল ৪২৪ কোটি টাকা। ওই নির্বাচনে তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয় ১২৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ইসি জানায়, আগামী নির্বাচনে সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা খাতে মোট এক হাজার ৭১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। নির্বাচনে পুলিশ, আনসার, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্য মোতায়েন এবং তাদের যাতায়াতের পেছনে এ পরিমাণ টাকা ব্যয় হবে বলে বাহিনীগুলো থেকে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৫৬৫ কোটি টাকা। এবার নির্বাচন পরিচালনা খাতে সম্ভাব্য ব্যয় দাঁড়াচ্ছে এক হাজার কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রশিক্ষণ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৫ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি। যদিও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচন পরিচালনা খাত মিলিয়ে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। নির্বাচন কমিশন জানায়, গত নির্বাচনের চেয়ে এবার ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ বেড়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোটকেন্দ্র ও দুই লাখ সাত হাজার ৩১৯টি ভোটকক্ষ ছিল। ওই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ছিলেন ৬ লাখ ৬২ হাজার ১১৯ জন। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৮ হাজার। তবে এবার ভোটার বেড়ে যাওয়ায় প্রায় ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র ও দুই লাখ ৬০ হাজার ভোটকক্ষ হিসাবে ধরে সব পদক্ষেপ নিচ্ছে ইসি। এবার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন হবে প্রায় ৯ লাখ। একইভাবে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যাও বাড়বে। যদিও এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে কতজন সদস্য মোতায়েন করা হবে সে সংক্রান্ত পরিপত্র এখনো জারি করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থগিত হওয়া কেন্দ্র এবং যারা একাধিক আসনে সংসদ সদস্য হবেন, তাদের একটি ছাড়া বাকি ছেড়ে দেওয়া আসনে উপ-নির্বাচন করতে হবে। ওইসব উপ-নির্বাচনের ব্যয় ধরেই এই হিসাব করা হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে আনসার ও ভিডিপি চেয়েছে ৩৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা। গত নির্বাচনে এ বাহিনীকে দেওয়া হয় ২৪২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এবারের নির্বাচনে বিজিবি চেয়েছে ১৪৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। গত নির্বাচনে বিজিবি পেয়েছিল ৭৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে র্যাব চেয়েছে ৫০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা গত নির্বাচনে ছিল ২২ কোটি ১২ লাখ টাকা। এ ছাড়া কোস্টগার্ড চেয়েছে ৭৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা, যা গত নির্বাচনে ছিল ২৫ কোটি টাকা।