গোদাগাড়ী প্রতিনিধি
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা ভূমি অফিসের জমা সহকারী সাজেদুর রহমান ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে গত বুধবার (১লা নভেম্বর) লিখিত অভিযোগ করেছেন জাহিদ হাসান নামের এক ভুক্তভোগী। জাহিদের বাড়ি উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামে। তাঁর অভিযোগে সাজেদুরের বিরুদ্ধে ঘুষের জন্য ফাইল আটকে রাখা, সেবাপ্রত্যাশীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। জাহিদের অভিযোগে বলা হয়, জমির খারিজ করতে গেলে কাগজপত্র সব থাকলেও ভুল ধরেন সাজেদুর। আরও কাগজপত্র লাগবে জানিয়ে তিনি খারিজ কেস বাতিল করে দিয়েছেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বায়া অথবা মূল দলিলের জমি খারিজ করতে গেলে তিনি জানিয়ে দেন, ১৯৮০ সালের আগের কোনো জমির খারিজ করে দেওয়া হবে না। অথচ ৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে আরেকজনের ১৯৭৭ সালের দলিলের জমি খারিজ করে দিয়েছেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, জমা সহকারী সাজেদুর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নাম ভাঙিয়েও খারিজপ্রতি ১ থেকে ২ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করেন। তিনি ভূমি অফিসে খারিজ করতে যাওয়া জমির মালিকদের অহেতুক ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখেন। একটু দ্রুত কাজ করার অনুরোধ করলে দুর্ব্যবহার করেন। তাঁর কারণে সেবাপ্রার্থীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন, সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাজেদুর দাবি করেন, তিনি অভিযোগকারী জাহিদ নামের কাউকে চেনেন না। অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো মন্তব্য নাই। অভিযোগ যদি করে থাকেন, তদন্ত করে স্যার ব্যবস্থা নেবেন। আমার আর কিছু বলার নেই। সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ হাসান বলেন বলেন, ‘তাঁর সম্পর্কে এ রকম কোনো কথা আগে শুনিনি। তবে আমার কাছেও তাঁর বিরুদ্ধে একটা লিখিত অভিযোগ এসেছে। এটার তদন্ত হবে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’