স্টাফ রিপোর্টার
রাজশাহী নগরীর ৬নং ওয়ার্ড অন্তর্গত লক্ষীপুর কাঁচা বাজার এলাকায় সাড়ে সাত কাঠা জমির দখল নিয়ে চলছে উত্তেজনা। বিবদমান জমিটি নিয়ে রাজশাহী যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি স্বত্ব আপীল মোকদ্দমা চলমানও আছে বলে জানান মামলার বাদী তুহিন ও শাহীন। যার মামলা নং ৭৮/২০১৪। তারিখ ১৭/০৪/২০১৪। বাদীর অভিযোগ, নালিশী ও বিবদমান সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে কোন প্রকার উত্তেজনা সৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পেতে উভয় পক্ষই রাজপাড়া থানায় আলাদা আলাদা লিখিত অভিযোগ দিলেও; পেশিশক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে জোরপূর্বক বিবাদীগণ দুই দফায় জমিটিকে শক্ত বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে ফেলে। চলমান মামলার নালিশী সম্পত্তি এমন বেআইনী পন্থায় জোরপূর্বক দখল নেয়াটা আইনকে সরাসরি অগ্রাহ্য করার সামিল বলে মন্তব্য বাদীপক্ষের। উক্ত মামলার বিবাদীরা হলেন, বোয়ালিয়া থানাধীন শিরোইল এলাকার হাজী আব্দুল মান্নানের ছেলে রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ও তৌফিকুল ইসলাম। ভুক্তভোগী তুহিন ও শাহীন উক্ত নালিশী মামলার ঐ তিনজন বিবাদীর বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে নেবার অভিযোগ তুলে গত ১৩/১০/২০২৩ তারিখে রাজপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত মামলার বাদী ও রাজপাড়া থানায় করা অভিযোগকারি তুহিন ও শাহীন নগরীর ডিংগাডোবা এলাকার মৃত শুকুর মোহাম্মদের ছেলে। তারা জানায়, বিবদমান জমিটি তাদের দাদা মৃত ইসু শেখের নিজ নামীয় সম্পত্তি ছিল। তারা আরো বলেন, দলিল দস্তাবেজনুযায়ী সি/এস ও এস/এ রেকর্ড আমার দাদার নামে ছিল। ১৯৬১ সালে আমার দাদার মৃত্যুর দুই বছর পরে কে বা কাহারা উক্ত সম্পত্তি ১৯৬৩ সালে ক্রয়কৃত বলে দাবি করেন। দাদার মৃত্যুর দুই বছর পর মৃত ব্যক্তির নামীয় সম্পত্তি কিভাবে অন্যের নামে রেকর্ড হলো সেটি এখন বিচার্য বিষয় বলে দাবি বাদীপক্ষের। পরবর্তীতে উক্ত সম্পত্তিটি বর্তমানে ক্রয়পূর্বক বেআইনী স্বত্ব দাবি করছেন এই মামলার বিবাদীগণ বলে মন্তব্য বাদী তুহিন. শাহীনের। ফুপাতো ও মামাতো ভাই সাইদ-রফিকুল বলেন, আদালতে চলমান মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিবাদী পক্ষ যেনো বিবদমান জমিটিতে কোন প্রকার জবর দখল করার চেষ্টা না করে সেবিষয়ে ০৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে একটু নজড় রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করতে গেলে উল্টো তিনি আমাকে বিবাদী পক্ষের টান টেনে বলেন, তারা কিন্তু অনেক প্রভাবশালী ও অর্থশালী ব্যক্তি। তোমরা তাদের কাজে বাঁধা দিলে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে ঝামেলা পাকাবে। কাউন্সিলরের এমন বক্তব্যের পরেরদিন অভিযুক্তরা জমিটি জোড়পূর্বক ঘিরে নেন। কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকুর উপস্থিতিতেই এমন আইন পরিপন্থি জবর দখল করেছে বলে জানান মামলার বাদীপক্ষ ও তার স্বজনরা। এদিকে, এমন অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু বলেন, সীমানা প্রাচীর দেবার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। বিবাদিরা আমাকে খাজনা খারিজের কাগজপত্র ও অন্যান্য দলিলদস্তাবেজ দেখিয়েছে, তাই আমি তাদেও পক্ষে কথা বলেছি মাত্র। বাদীরা সেগুলো দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। অভিযোগকারিরা আরো জানান, জোড়পূর্বক দখলকে কেন্দ্র করে রাজপাড়া থানায় অভিযোগ দায়েরের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই মতিন বিবদমান ও নালিশী সম্পত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে ছবি তোলেন। আদালতের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বিবদমান জমিটি দখল করার চেষ্টা না করা ও বিশৃঙ্খলা পরিহার করার দিক নির্দেশনা দিয়ে গেলেও সেটিও অমান্য করেছে অভিযুক্তরা। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এসআই মতিন বলেন, আইন শৃঙ্খলার কোন অবনতি যেনো না হয় সেটিন প্রতি লক্ষ্য রাখা আমাদেও অন্যতম কর্তব্য। কোনপক্ষ জমি দখল করলো সেটি আদালত দেখবে। আদালতে স্বত্ব আপীল মোকদ্দমা চলমান থাকাবস্থায় জোড়পূর্বক বিবদমান জায়গাটি কেনো ঘিরে ফেললেন জানতে চাইলে মামলার দ্বিতীয় নম্বর বাদী শফিকুল ইসলাম প্রতুত্ত্বরে বলেন, এই বিষয়ে আমি জানিনা. আমার কোন আইডিয়া নাই। এখানে আইডিয়া বলতে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, তিনি অবগত নন!