শুক্রবার

১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর খড়খড়িতে উচ্ছেদের পর ফের সওজের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ

Paris
Update : সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার
রাজশাহী মহানগরীর অদূরে খড়খড়ি মোড়ে সরকারী খাল ভরাট করে নির্মিত হওয়া অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর আবারো সেই জায়গায় অবৈধ স্থাপণা নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে গত রোববার ১২ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগটি করেছেন ইনজামুল হক নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর পবা উপজেলার খড়খড়ি বাইপাস মোড় সংলগ্ন মাংস পট্টির পূর্ব পাশের খাল ৭.০০ শতক (আনুমানিক) জায়গা গত ২০২২ সালের ২৫ মে থেকে ভরাট করছিল হারুন অর রশীদের স্ত্রী, রাবেয়া, তার স্বামী হারুন আর রশিদ, মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে শামসুল, আব্দুস সালামের ছেলে সোহেল ও মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে আহসান আলীসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি। এর প্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তরকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর গত অবশেষে গত ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালটি দখলমুক্ত করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এর কয়েক মাসের মাথায় ফের তারা সেটি দখল শুরু করেন। চলতি মাসের ৫/০৯/২০২৩ ইং তারিখ থেকে আবারও সেই জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে উক্ত ব্যক্তিরা। এই অবৈধ স্থাপনায় আবার ভাড়া দিয়ে সম্মানি বাবদ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিেেচ্ছ তারা।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে এই খালে হাটের কিছু ময়লা ও সড়কের পানি নামতো। এ কারণে কখনো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়না। বর্তমানে খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ার পর সেখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এই খালটি ভাড়া দিয়ে তারা কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে লোক মুখে শোনা যাচ্ছে। খাল ভরাটকারীরা বখাটে ও মাস্তান প্রকৃতির লোক হওয়ায় ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারছে না। তাই তারা জনস্বার্থে খালটি আবার উন্মুক্ত ও অবৈধ স্থাপনা পুনরায় উচ্ছেদ করে আইন অমান্য কারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়াও অভিযোগের অনুলিপি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ঢাকা, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ফিন্যান্স এ্যান্ড এডমিন) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী-২, সড়ক বিভাগ, রাজশাহী, অফিসার ইনচার্জ, মতিহার থানা, পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সার্ভেয়ার, সড়ক বিভাগ, রাজশাহী ও ৯ নং পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পবা বরাবর পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আবার অভিযান চালিয়ে সেটি ভেঙ্গে দেওয়া হবে। অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris