সোমবার

১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

Norway

ডলারের দাম আরো বাড়লো ভবিষ্যত নির্ধারণে নতুন নিয়ম

Reporter Name
Update : সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

এফএনএস
ডলারের ভবিষ্যতের দাম (ফরওয়ার্ড রেট) বেঁধে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য ভবিষ্যতের ডলারে গুণতে হবে সুদ নির্ধারণের পদ্ধতি ‘সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি’-এর সঙ্গে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ বেশি। গত রোববার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই নিয়ম চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যে পদ্ধতিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, সেটি স্মার্ট বা সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। জুলাইয়ে স্মার্ট রেট ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। আগস্টে তা বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ, যা চলতি সেপ্টেম্বরেও অপরিবর্তিত রয়েছে। কেউ এখন ভবিষ্যতের জন্য ডলারের বুকিং দিয়ে রাখলে তাকে এক বছর পর প্রতি ডলারে ১২৩ টাকা ৩৫ পয়সা পরিশোধ করতে হবে। আর মাসভিত্তিক দাম হলে তা মাস হিসাবেই কমে আসবে। বর্তমানে আমদানিতে ডলারের দাম ১১০ টাকা। আমদানিকারকদের কাছে বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক গত রোববার নতুন নিয়মটি চালু করেছে। ডলার ক্রয় ও বিক্রয় উভয়ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ দাম নির্ধারণ করা যায়। কোনো আমদানিকারক এখনই ডলার কিনে এক বছরের মধ্যে পণ্য আমদানি করতে পারেন। এজন্য তাকে বর্তমান ডলারের সঙ্গে ব্যাংককে বাড়তি কমিশন দিতে হয়। ওই সময়ে দাম কমে গেলেও আমদানিকারককে বর্তমান দাম দিতে হবে। আবার দাম বেড়ে গেলে তিনি সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ বাড়তি দাম দিতে হবে না। এদিকে রপ্তানিকারকও নির্দিষ্ট সময় ডলার বিক্রি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দাম কমে গেলে রপ্তানিকারক লোকসানেও পড়তে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) ডলারের জোগান ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন সময়ে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম প্রতি মাসেই বাড়ছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি মাস থেকে পণ্য বা সেবা খাতের রপ্তানি আয়ের ডলার ও প্রবাসী আয়ের ডলার কেনায় দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। আগে ব্যাংকগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতি ডলারের জন্য প্রবাসীদের ১০৯ টাকা ও রপ্তানিকারকদের ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দিত। অন্যদিকে ব্যাংকগুলো এখন আমদানিকারকদের কাছে ১১০ টাকায় ডলার বিক্রি করছে। আগে আমদানি দায় মেটাতে ব্যাংকগুলো আমদানিকারকদের কাছে প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করত। তবে অভিযোগ আছে, বাস্তবে এই দামে ডলার কেনা-বেচা হচ্ছে খুব কম। এদিকে ডলারের দাম আবারও বাড়িয়েছে দেশের ব্যাংকগুলো। এবার আমদানি রপ্তানি ও রেমিট্যান্স সব ক্ষেত্রেই ৫০ পয়সা করে বাড়ানো হয়েছে ডলারের দর। গতকাল সোমবার থেকে নতুন এই বিনিময় হার কার্যকর হচ্ছে। বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ভার্চুয়াল সভায় ডলারের হার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। আজ (গতকাল সোমবার) থেকে তারা ১১০ টাকায় ডলার কিনে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করতে রাজি হয়েছেন। নতুন হার অনুসারে রপ্তানিকারক ও রেমিট্যান্স পাঠানো ব্যক্তিরা প্রতি ডলারে ১১০ টাকা পাবেন। এ ছাড়াও, ব্যাংকগুলো আমদানিকারকদের কাছ থেকে ডলারপ্রতি ১১০ টাকা ৫০ পয়সা নেবে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডলারের আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার ধরা হয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। এটি গত বছরের জানুয়ারিতে ছিল ৮৫ টাকা ৮ পয়সা। প্রত্যাশিত রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের তুলনায় আমদানি বিল বেশি হওয়ায় দেশের রিজার্ভ কমে গেছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris