এফএনএস : বিএনপির তারুণ্যের রোডমার্চ চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড এলাকায় পথসভাস্থল থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনসহ কমপক্ষে ৩০ নেতাকর্মীর মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। বিএনপির নেতাকর্মীরা চোরাই সিন্ডিকেটসহ আওয়ামী লীগের কর্মীদেরকে দায়ী করেন। মোবাইল হারানো নেতাকর্মীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির তারুণ্যের রোডমার্চ যাত্রাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার বিশ্বরোডে এসে পৌঁছার কথা ছিল। এর আগেই সকাল থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ব্যানার পোস্টার নিয়ে বিশ্বরোড মোড়ে হোটেল লাল শালুকের সামনে পথসভা স্থলে এসে জড়ো হন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একে একে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়ি বহর আসে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা হুমড়ি খেয়ে তাদের স্বাগত জানান। এই ফাঁকে চোরেরা অনেকের পকেট মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। মোবাইল নিয়ে যাওয়া যুবদল নেতা সাকায়েত উল্লাহ বলেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাই যখন এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন আমরা ওনাকে স্বাগত জানাতে যাই। সেখানে প্রচুর ভিড় হয়েছিল। এর এক ফাঁকে মোবাইলটি চুরি হয়ে গেছে। এখানে নেতাকর্মীরা ছাড়াও কিছু চোর প্রবেশ করছে। তারাই সুযোগ বুঝে নিয়ে গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া থেকে আসা ছাত্রদল নেতা হোসাইন মাহমুদ শোখন বলেন, এখানে তৃতীয় পক্ষ কেউ মোবাইল চুরি করতে এসেছে। কিছু মোবাইল আবার আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা চুরি করছে বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে। কেননা আমাদের মোবাইলগুলোতে তথ্য উপাত্ত রয়েছে। সে জন্য ছাত্রলীগের নেতারা মোবাইল চুরি করে থাকতে পারে। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সেজান মাহমুদ তুষার বলেন, এখানে আমাদের নেতা ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহমুদ শ্যামল ভাই এসেছিলেন। তখন সেখানে মানুষের ধাক্কাধাক্কি লেগে যায়। ভালো মানুষের মাঝেও কিছু চোর থাকে। এর মাঝখান থেকে আমাদের জেলা বিএনপির তিনবারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন ভাইয়ের মোবাইলটিও চুরি হয়। এ ছাড়া কমপক্ষে ৩০টির বেশি মোবাইল চুরি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অপর সদস্য ও সাবেক জেলা শাখার সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, একটি চোরাই সিন্ডিকেট এই ফোনগুলো চুরি করেছে। গতকাল শুক্রবার এ বিষয়ে সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।