স্টাফ রিপোর্টার
১৪ বছর আগে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় গৃহবধূ শারমিন আক্তার লিপি হত্যা মামলায় স্বামী রফিকুল ইসলামকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো.বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহাম্মেদ হিরো, আবু নাসের স্বপন ও মির্জা মোহাম্মদ শোয়েব মুহিত। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির, মোহাম্মদ নওয়াব আলী ও জিএম মুজাহিদুর রহমান। বাগমারার ভবানিগঞ্জে রফিকুল ইসলাম যৌতুকের দাবিতে তার স্ত্রী শারমিন আক্তার লিপির ওপর বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। ২০০৭ সালের ৭ আগস্ট রাতে নির্যাতনের একপর্যায়ে তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে শারমিন ‘আত্মহত্যা করেছেন’ বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু পুলিশ রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে বাগমারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক কে এম শহীদ আহমেদ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।