রবিবার

১লা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

১৬ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

Norway

পাবনায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগকর্মী খুন ৯ জন গ্রেপ্তার

Reporter Name
Update : সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

এফএনএস

পাবনার পদ্মা নদীর অবৈধ বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগ নেতা তাফসির আহমেদ মনা (২৪) খুন হয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি। নিহত তাফসির আহমেদ উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর পাকারাস্তা মোড় এলাকার তাইজুর রহমান তুহিনের ছেলে। তিনি পাকশী ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। গ্রেপ্তাররা হলেন- ঈশ্বরদীর নতুন রূপপুরের ইউনুস আলীর ছেলে মানিক (৩৬), সাহাপুর ইউনিয়নের দিয়ার সাহাপুর গ্রামের মুহিদুল হকের ছেলে ফসিউল আলম অনিক (২৭), নতুন রূপপুরের রূপপুর পাড়ার আতিয়ার রহমানের ছেলে চমন (৩৮), চর সাহাপুর গ্রামের আক্তার সরদারের ছেলে শাহিন সরদার (২৮), নতুন রূপপুরের আজিজ প্রামাণিকের ছেলে রাজিব (৩০), চর রূপপুর পশ্চিমপাড়ার জহুরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩২), সলিমপুরের শাহজাহানের ছেলে আমজাদ হোসেন অবুঝ (৩৭), চর রূপপুরের মনিরুল ইসলাম (৩৪) ও লক্ষীকুণ্ডার মাহফুজুর রহমান কালা (৩৫)। পুলিশ সুপার জানান, নিহত মনা গত ১৭ জুন রাতে লক্ষীকুণ্ডা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এমপি মার্কেটে ইকবালের অফিসে আড্ডা দেওয়া অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তিনজন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের অ্যাপ্রোন ও হেলমেট পড়ে মোটরসাইকেলে করে এসে মনাকে ৫ থেকে ৬ রাউন্ড গুলি করে। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মনার মা নাহিদা আক্তার লিপি বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি আরও জানান, এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মূলহোতা অনিককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ঢাকা, গাজীপুর, কুষ্টিয়া এবং পাবনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী মানিকসহ তাদের অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানকালে জিগাতলা এলাকায় অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। এ সময় অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়। পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি জানান, আসামিদের সঙ্গে মনা পরিবারের দীর্ঘদিনের শত্রুতা, চাঁদাবাজি এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর সঙ্গে বালু মহলের নিয়ন্ত্রণ আছে। বালু মহলও আধিপত্য বিস্তারের অন্যতম কারণ। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে অবুঝের বিরুদ্ধে পাঁচটি, কালার বিরুদ্ধে চারটি, মানিকের বিরুদ্ধে ১১টি, চমনের বিরুদ্ধে ১০টি, অনিকের বিরুদ্ধে পাঁচটি ও রাজিবের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পাবনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, ঈশ্বরদীর ওসি অরবিন্দ সরকারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris