তানোর থেকে প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে ১০ বছরের ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে খাড়ির ধারে ঘাস কাটতে মাঠে গিয়েছিলো ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর এক ছাত্রী। ওই সময় ভাইকে গাছের সাথে বেধে রেখে বোনকে ধর্ষণ করেছে লম্পট দুই যুবক বলে অভিযোগে পাওয়া গেছে করা হয়েছে। গত শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার কলমা ইউপি এলাকায় ঘটে এমন ঘটনাটি। এঘটনায় উপজেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সালবাড়ি সল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে শনিবার রাতে দুইজনকে আসামি করে তানোর থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ভিকটিম ছাত্রীকে উদ্ধার করে রোববার সকালে রাজশাহীর মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে।
জানা গেছে, উপজেলার কলমা ইউপির ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী পল্লীর ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে এবং ১০ বছরের ছেলে শনিবার স্কুল ছুটি থাকায় দুই ভাই বোন বাড়ি ছেড়ে আধা কিলোমিটার দুরে মাঠে খাড়ির ধারে ঘাস কাটতে যায়। এসময় মনিরুল ইসলামের ছেলে জনি (৩২) এবং আবুল কালামের ছেলে আলি (৩৬) ফাঁকা মাঠে দুপুরে ছোট দুই ভাই বোনকে একা পেয়ে আলি তার ছোট ভাইকে গাছের সঙ্গে বেধে রাখে। আর জনি ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে মুখে গামছা দিয়ে আটকিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। এব্যাপারে থানার ওসি আব্দুর রহিম জানান, ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাতেই থানায় একটি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। আসামীদের আটকের জোরালো অভিযান চলছে।