এফএনএস
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে আপাতত ভাবছেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সংলাপ নিয়ে ভাববো কি না সেটা পরের বিষয়। টেবিলে বসিয়ে মুলা ঝুলাবে, গতবারের কথা আমাদের মনে আছে। একবার নয়, দুইবার তাদের সঙ্গে সংলাপে বসেছি। রেজাল্ট কী? গতকাল বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষেধাজ্ঞার জন্য নালিশ করতে করতে বিএনপি এখন নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে। তারা নিজেরাই এখন ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে’। তিনি বলেন, এখন তারা (বিএনপি) নালিশ করে নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে পেয়েছে ভিসানীতি। এই ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না- এটা সেই দেশের (যুক্তরাষ্ট্রের) ব্যাপার। আমরাও আমাদের দেশে কাকে ভিসা দেবো, কাকে ভিসা দেবো না- সেটাও আমাদের ব্যাপার। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কী আছে! আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল সাহেবের জিহ্বায় পানি আসছে। মনে করছেন, আওয়ামী লীগ তাদের সংলাপে ডাকবে। এই সংলাপের কথা আমরা ভাবছি না। নিরপেক্ষ কে? আপনার নেত্রী বলেছেন শিশু এবং পাগল। শিশু আর পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। কাজে আপনি শিশু এবং পাগলের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষ ব্যক্তি খুঁজে বের করুন। তারপর বোঝা যাবে কী হবে। আর এটা নিয়ে মাথা খারাপ করে কাজ নেই। এই তত্ত্বাবধায়ক আর আসবে না, তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে। এই মরা জিনিসকে আর জীবিত করার চেষ্টা করবেন না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করেনি, এটা নিষিদ্ধ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তিনি বলেন, বিএনপির নমিনেশন লন্ডন থেকে দেয়, ঢাকা থেকে দেয়, নয়াপল্টন থেকে দেয়, গুলশান থেকে দেয়। এত জায়গা থেকে নমিনেশন বিক্রি করে। এটাই হচ্ছে বিএনপি। শেষ পর্যন্ত নমিনেশন বাণিজ্যের জন্য কি এত খেলাধুলা করছেন? মনে আছে, ওই নমিনেশন বাণিজ্য অনেকের পকেট খালি করেছে। একেক জায়গা তিনজন-চারজন করে নমিনেশন পেয়েছে, এটা হচ্ছে বিএনপি। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছিল না। খালেদা জিয়ার ইচ্ছায় নির্বাচন কমিশন ছিল আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন। সেটা আর হবে না। সেই দিন চলে গেছে। আমাদের নেত্রী পার্লামেন্ট আইন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আপনাদের চিৎকার করার কোনো কারণ নেই। সেতুমন্ত্রী বলেন, আজ বিদেশি বন্ধুরা চায় নিরপেক্ষ নির্বাচন। তারা চায় ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন। আমাদের নেত্রী দেশি-বিদেশিদের আশ্বস্ত করে বলেছেন যে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবো। বিদেশিরা চায় ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন, আর বিএনপি চায় তত্ত্বাবধায়ক। বিএনপি চায় শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, মামা বাড়ির আবদার। বিএনপির দাবি পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করতে হবে। জনগণের নির্বাচিত পার্লামেন্ট কেন বিলুপ্ত করতে হবে? নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিয়মের মধ্যে থাকুন। আপনারা আমাদের শপথে থাকুন। আবারও ৬ জুন, ৭ মার্চের শপথ আমাদের নিতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র গিলে খেয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা গিলে খেয়েছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ গিলে খেয়েছে। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। এরা যদি ক্ষমতা ফিরে পায়, বিএনপি নামের বিষধর সাপ গোটা দেশ গিলে খাবে। লোডশেডিং প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জনগণকে বলেছি, আপনারা সময় দিন। ১০-১৫টা দিন সময় দিন। সব ঠিক হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যার ওপর ভরসা রাখুন। এসময় নতুন ভোটারদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের তরুণ সমাজ, এবার তোমরা যারা প্রথমবার ভোট দেবে, তোমরা স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে ভোটটা দেবে।