শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ডে ১৭৫৬ ভোট নিয়ে চলছে গেম?

Paris
Update : মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার

আসন্ন ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য রাসিক নির্বাচনে ১৮নং ওয়ার্ডে চলছে ভোটের রাজনীতি। গেলবারের নির্বাচনে দ্বিতীয়স্থানে থাকা হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বির পাওয়া ভোটকে কেন্দ্র করেই চলছে এবারের সম্ভাব্য বিজয়ী প্রার্থীর দৌড়ঝাপ বলে মন্তব্য স্থানীয়দের। গেলবার নির্বাচনে স্বল্প ব্যবধানে পরাজিত হওয়া প্রার্থীকে নিজের আয়াত্তে আনতেও সার্বক্ষণিক চলছে নানামূখী  কৌশল বলেও মন্তব্য অনেকের। সেই কৌশলের সাথে যোগ হয়েছে অর্থ আদান প্রদানের বিষয়টি বলেও মন্তব্য বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের। এই ওয়ার্ড থেকে এবারের নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করছে মোট পাঁচজন। এরমধ্যে তিনজনের মধ্যে লড়াই হবে বলে জানাচ্ছেন ভোটাররা।

স্থানীয় ও সচেতন ব্যক্তিদের মন্তব্যনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে নতুন কিছু মুখের আবির্ভাবের কারণেই ভোট গেম উদ্ভবের কারণ হতে পারে। গেল নির্বাচনে যে হেভিওয়েট প্রার্থী মাত্র ৫০২ ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন তাকে ম্যানেজ করতে পারলেই নাকি বিজয়েল দ্বার উন্মোচনের সম্ভাবনা আছে বলে জানান স্থানীয় ভোটাররা। এই ওয়ার্ডে সংঘাতের আশঙ্কাও করছেন স্থানীয়রা। কারণ হিসেবে তারা জানান, হেভিওয়েট এক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার ব্যানার ও পোস্টার লাগাতে অন্য এক প্রার্থী সেই প্রথম থেকেই নানাভাবে বাঁধাগ্রস্থ করছে। এই সমস্যা পুরোদমে দূরীভূত না হলে আশঙ্কা থেকেই যাবে অনাকাঙ্খিত সংঘাতের। উল্লেখ্য, যে ইতিমধ্যেই আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে রাসিকের তিনটি ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে। এরইমধ্যে ১৯ ওয়ার্ডে ঘটেছে সংঘাতের মতো ঘটনাও। এছাড়াও ১৩ নং ওয়ার্ডে প্রাচার-প্রচারণায় প্রতিদ্বন্দ্বির অনুসারিদের দ্বারা বাঁধাগ্রস্থ হয়েছেন একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন শহিদুল ইসলাম পচা। তিনি পেয়েছিলেন ২ হাজার ২৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফাইজুল হক ফাহি পেয়েছিলেন ১ হাজার ৭৫৬ ভোট। ৫০২ ভোটের ব্যবধানে নির্ধারিত হয়েছিল সেই ফলাফল। স্থানীয়দের দেয়া তথ্যানুযায়ী, সেই ফলাফল জানতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল রাত্রি ১১:০০ টা অবদি। গেলবারের দ্বিতীয় পজিশনে থাকা প্রার্থী রাজনৈতিক কারণে এবারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারলেন না বলে মন্তব্য ফাহির।। যেটি নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধতার পাশাপাশি হতাশাও ব্যক্ত করলেন।  গেল নির্বাচনে দ্বিতীয়স্থঅনে থাকা হেভিওয়েট প্রার্থী ফাহি এবারের নির্বাচনে প্রার্থীতা হবার দামামা বাজলেও হঠাৎ করে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর কারণে তার পাওয়া ১৭৫৬ ভোট নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রার্থীরা। এবারের রাসিক অন্যান্য ওয়ার্ডের ন্যায় এই ওয়ার্ডেও নতুন আর তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ বেশ চোখে পরার মতো। এই ওয়ার্ডে বিজয়ের বিষয়টি নির্ভর করছে গেলবার পরাজিত হওয়া প্রার্থীর সেই ১৭৫৬ ভোটের সাথে নিজের স্বতন্ত্র প্রাপ্ত ভোট। এবার বেশ কয়েকজন নতুন ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে নির্বাচনে বিজয়ী হবার অভিপ্রায় নিয়ে বলে জানান স্থানীয়রা। এবারের নির্বাচনে অনুপস্থিতি থাকা গেলবারের পরাজিত প্রার্থীর সেই প্রাপ্ত ভোটগুলো যে নিজের দিকে কনভার্ট করতে পারবে তিনিই বিজয়ী হবার ট্রাকে এগিয়ে থাকবেন বলে মস্তব্য স্থানীয়দের। আর সেই ভোট নিয়েই চলছে নিসতব্ধ এক ভোটের রাজনীতি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris