শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানলেন স্বর্ণকন্যা

Paris
Update : মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩

এফএনএস

খেলোয়াড়ি জীবনের সোনালি সময় বলতে গেলে পেছনে ফেলে এসেছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একসময় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন শুটার শারমিন আক্তার। ঘরোয়া আসরেও কম যাননি। তবে ২২ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টেনে এবার মনোযোগ দিয়েছেন খেলোয়াড় তৈরির দিকে! পরিষ্কার করে বললে কোচিং পেশায় নাম তুলেছেন ২০০৪ এসএ গেমসে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল এককে সোনাজয়ী এই শুটার। শুটিং ফেডারেশনের কোচদের ট্রেনিং প্রোগ্রাম চলছে। ইরানি কোচ জায়ের রেজাইয়ের সঙ্গে কোচিং স্টাফদের মধ্যে থাকার সুযোগ রয়েছে শারমিনসহ আরেক সাবেক শুটার সুরাইয়া আক্তার ও তৃপ্তি দত্তের। একমাস ধরে নবীন শুটারদের সঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন শারমিনসহ অন্যরা। ইরানি কোচ ছুটি শেষে দেশে ফিরলেই শারমিনসহ অন্যান্যের সহকারী হিসেবে বাছাইটাও নিশ্চিত হবে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ গেমসে ব্রোঞ্জ পাওয়া শারমিন আশায় আছেন পুরোদস্তুর কোচিং পেশায় নাম লেখানোর।নিজের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশ গেমসে সবশেষ শুটিং করেছি। এরপর থেকে সেভাবে করা হচ্ছে না। এবারই খেলোয়াড়ি জীবন তুলে রেখে কোচিংয়ে নাম লিখিয়েছি। এখন কোচদের ট্রেনিং চলছে। ফেডারেশন থেকে অফিসিয়ালি কোনো ঘোষণা আসেনি। ইরানি কোচ ফিরলেই তখন আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারবো।’ কোচিং পেশায় আসার কারণ হিসেবে শারমিন একটু পেছনে ফিরে গেলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে জড়িত শুটিংয়ে। অন্য কোনো পেশায় যাওয়া সম্ভব নয়। রক্তে মিশে আছে। ক্যারিয়ারে যত শিখেছি তা অন্যান্যের মাঝে দিতে চাই। পেশা হিসেবে তাই কোচিংটাকে বাছাই করেছি। মহাসচিবকে (শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশন) বলেছিলাম কোচিংকে পেশা হিসেবে নিতে চাই। এরপর আমাদের তিনজনকে ডাকা হযেছে। কোচেস ট্রেনিং চলছে। পাশাপাশি আপাতত এশিয়ান গেমসে জুনিয়র ও সিনিয়রদের ট্রেনিং করাচ্ছি। আশা করছি সহকারী কোচ পদে কাজ করার সুযোগটা এসেই যাবে।’ ২০০৪ ইসলামাবাদ গেমসে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সোনা জিতে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন শারমিন। এই ইভেন্টে আগে সেসময় কখনই কোনো মেয়ে সোনা জেতেননি। এরপর ক্যারিয়ারে রুপা ও ব্রোঞ্জ তো রয়েছেই। এ ছাড়া জাতীয় আসরে ৫ থেকে ৬টি গোল্ড আছে। শারমিন নিজের স্বপ্নের কথা জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘সবশেষ নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের হয়ে খেলেছি। এরপর আর খেলিনি। আমার স্বপ্ন নতুন শুটার তৈরি করবো। দেশের জন্য কিছু করবো। কোচেস কোর্স করেছি। এরপর আন্তর্জাতিক কোর্সও করবো। যেন কোচিংয়ে ঠিকঠাক থাকতে পারি।’ শারমিনের পুরো পরিবার ক্রীড়ামনস্ক। বাবা ছিলেন ফুটবলার। বোনও অ্যাথলেট। তাই ক্রীড়ার সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে সমস্যাই হচ্ছে না। শারমিনের পর আরেক শারমিন আক্তার রত্না এসএ গেমসে সোনা জিতেছিলেন। এরপর আর সোনার পদকের মুখ দেখা হয়নি। শারমিন মনে করছেন এখনও ভালো সম্ভাবনা আছে নতুন শুটারদের মধ্যে। এ ছাড়া কোচিং ক্যারিয়ার নিয়ে স্বপ্নও দেখেন, ‘রাইফেল শুটার মেয়েদের মধ্যে সম্ভাবনা আছে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে ভালো কিছু  সম্ভব। স্বপ্ন দেখি। আমরাও কি পারি না বিভিন্ন দেশে গিয়ে কোচ হতে। আন্তর্জাতিক কোচ হতে চাই। সেই যোগ্যতা অর্জন করে বিশ্বে সেরা কোচদের একজন হতে চাই। সেই পর্যায়ে যাওয়ার জন্য যদি ফেডারেশন আমাদের তৈরি করতে পারে তাহলে তা সম্ভব। তখন দেশের জন্য আরও ভালো করে কাজ করারও সুযোগ থাকবে।’


আরোও অন্যান্য খবর
Paris