শনিবার

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপহরণের জন্য অজ্ঞান করতে গিয়ে শিশুকে খুন

Paris
Update : বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩

এফএনএস

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আট বছরের শিশু আদিল মোহাম্মদ সোহান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। শিশু সোহানকে হত্যা করেন একই বাড়ির বাসিন্দা শরীফ তালুকদারের ছেলে ও নিহত সোহানের গৃহশিক্ষক মো. আবদুল আহাদ। মূলত ভারতীয় সিরিয়াল দেখে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেন হত্যাকারী। এতে সোহানের গলা ও মুখ চেপে ধরে অজ্ঞান করার পরিকল্পনা থাকলেও তাতে শিশুটির মৃত্যু হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে এক প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য জানান চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ। গত ১৫ মে সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু আদিল মোহাম্মদ সোহাগ। সে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুদ্রগাঁও তালুকদার বাড়ির আনোয়ার হোসেনের ছেলে। নিখোঁজের ৫ দিন পর ১৯ মে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত বিলে শিশুটির মাটিচাপা লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সবশেষ তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্নভাবে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে বেরিয়ে আসে, ভারতীয় সিরিয়াল দেখে মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে পরিকল্পনা করে হত্যা করেন শিশুটির গৃহশিক্ষক আবদুল আহাদ। পরিকল্পনায় শিশুটিকে অজ্ঞান করার চিন্তা থাকলেও এতে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ সুপার জানান, ১৫ মে মাগরিবের নামাজের পর শিশু সোহানকে নির্জন একটি নার্সারিতে নিয়ে যান হত্যাকারী আহাদ। সেখানে তার মুখ ও গলা চেপে ধরলে শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ সময় হত্যাকারী ভাবেন শিশু সোহান অজ্ঞান হয়ে পড়েছে এবং নিজ বাসায় গিয়ে মায়ের মোবাইলে অন্য একটি সিম দিয়ে মুক্তিপণের জন্য ভুক্তভোগীর পরিবারকে ফোন দেন। তবে সোহানের খোঁজে পরিবারের সবাই মোবাইল বাসায় রেখে বাইরে থাকায় কেউই ফোনটি রিসিভ করেননি। এ সময় হত্যাকারী নিজেও পরিবারের সবার সঙ্গে সোহানের খোঁজ করার নাটক করেন। পরে গভীর রাতে পরিত্যক্ত বিলে সোহানের লাশ মাটিচাপা দেন তিনি। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডটি অন্যদিকে পরিচালনার উদ্দেশ্যে পুলিশকে নানারকম মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন আহাদ। তবে সবশেষ গত মঙ্গলবার তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। এদিকে এমন ঘটনায় নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত ভারতীয় এই ধরনের সিরিয়াল দেখার বিধিনিষেধ থাকা প্রয়োজন এবং দেশের অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনতে ভারতীয় সিরিয়ালের উপর আরও বিধি নিষেধ প্রয়োজন বলে মনে করছে সচেতন মহল।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris