শনিবার

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীসহ দেশের ৯ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি, বাড়তে পারে আরো তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৭ দিন বন্ধ তীব্র তাপদাহে রাজশাহীতে হাসপাতালে বাড়ছে রোগী তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাইমারি স্কুলে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে : জাতিসংঘ রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত রাজশাহীতে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ধামুইরহাটে ভূয়া সিআইডি গ্রেফতার রাজশাহীতে বিভাগীয় পেনশন মেলা অনুষ্ঠিত

তানোরে মাদ্রাসায় উপস্থিত নিয়োগ পার্থীরা, সুপার ও সভাপতি লাপাত্তা

Paris
Update : শনিবার, ২০ মে, ২০২৩

তানোর সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোর পৌরসভা দাখিল মাদ্রাসায় (আমশো) নিয়োগ পরীক্ষার নির্ধারিত দিনে প্রার্থীরা যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হলেও সুপার মুনসুর রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক যুবলীগ নেতা ইকবাল মোল্লা উধাও হয়ে গেছেন বলে নিশ্চিত করেন প্রার্থীরা। শুক্রবার (১৯ মে) সকাল ৯ টার দিকে নিয়োগ পীরক্ষার সময় দিলেও দুপুর ১২ টা পর্যন্ত প্রার্থী রা বসে থাকলেও সুপার ও সভাপতির দেখা মিলেনি। এতে করে নিয়োগ পরিক্ষার্থীরা তাদের না পেয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ফিরে যান। ফলে সুপার ও সভাপতির শাস্তির দাবিতে ফ্ুঁসে উঠেছেন স্থানীয়রা।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার মাঠে নিয়োগ পরিক্ষার্থীরা বসে কান্নাকাটি করছেন। মাদ্রাসার অফিস খোলা রয়েছে। ভিতরে কয়েকজন শিক্ষক কর্মচারী বসে আছেন। তাদের কাছে নিয়োগ পীরক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, গত বৃহস্পতিবার সুপার জানান নিয়োগ পরিক্ষা হবে এজন্য শুক্রবার সকালে আসতে বলেন। সে অনুযায়ী আমরা সকাল থেকে বসে আছি। সুপার ও সভাপতি কেউ আসেনি। মোবাইল করলে ধরছেন না। পীরক্ষা না হলেও তো আমাদেরকে বলতে পারে। কারণ যারা নিয়োগের জন্য আবেদন করেছেন সবাই আমশো গ্রামের বাসিন্দা। যতই বেলা গড়াচ্ছে গ্রামের লোকজন ততই জড়ো হচ্ছেন। আমরাও অফিস বন্ধ করতে পারছিনা। নিয়োগ পরীক্ষার্থী ও গ্রামের মানুষকে কিছু বলে পাঠাবো সেটাও বলছে না সুপার। কতবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও কত জন আবেদন করেছেন জানতে চাইলে তারা জানান, যে আলমারিতে কাগজপত্র থাকে সেটার চাবি সুপারের কাছে, তিনি ছাড়া কেউ কিছুই বলতে পারবেন না।

নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধের বিষয়ে এক শিক্ষক জানান, আয়া ও নিরাপত্তা পদে দুটি নিয়োগ হওয়ার কথা। কিন্তু সুপার একাধিক ব্যাক্তির কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন। এজন্য সে বেশ কিছুদিন ধরে মাদ্রাসায় আসছেন না। আসলেই পাওনাদারেরা ধরবে। মুলত এসব কারনেই সুপারের ইচ্ছায় নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধ হয়েছে। শুধু চাকুরী দেওয়ার নামে টাকা নেয় না, একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে সুদের উপরে লাখলাখ টাকা নিয়েছেন। গত ৩০ মার্চ চাকুরীর ৪ লাখ টাকা আদায়ের জন্য সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে চাকুরী প্রার্থীর স্বজনরা ধরে সুপারকে থানায় দিতে চান। কিন্তু স্থানীয়দের অনুরোধে তালন্দ ইউপি চেয়ারম্যান বসে মিমাংসা করে দেন এবং দু মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দিবে মর্মে লিখাপড়া হয়। এঘটনায় সুপার মুনসুর বলেছিলেন, চাকুরীর টাকা না সুদের উপর টাকা নেওয়া হয়েছিল।

জানা গেছে, (আমশো) পৌরসভা দাখিল মাদ্রাসায় নিরাপত্তা ও আয়া পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য চলতি মাসের ১৪ মে শনিবার মাদ্রাসার প্যাডে সুপার মুনসুরের স্বাক্ষরিত নিয়োগ পরিক্ষার জন্য স্বাক্ষাতকার/ প্রবেশপথ দেওয়া হয়। নিরাপত্তা কর্মী পদের আবেদন কারী সাফিউল ইসলাম, আশিক হাসান ও আয়া পদে নাসিমা, শিমানা ও জুথিসহ আরো কয়েকজন জানান, গত ১৪ মে প্রবেশ পত্র দিয়ে বলা হয়েছে শুক্রবার সকাল ৯ টার সময় লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষা হবে। সে মোতাবেক আমরা মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়েছি। তিন ঘন্টা ধরে উপেক্ষা করার পর জানতে পারলাম পরিক্ষা স্থগিত। কিন্তু আমাদেরকে কিছুই বলা হয়নি। মাদ্রাসা সুপার মুনসুরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি রাজশাহীতে আছি, সমস্যার জন্য পরিক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিতের বিষয়ে আবেদন কারীরা নাকি কিছুই জানেন না প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন হঠাৎ কর্মকর্তা অসুস্থ এজন্য স্থগিত জানানোর সময় পাওয়া যায়নি। আপনি নাকি একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক পৌর যুবলীগের সভাপতি ইকবাল মোল্লা জানান, রাজশাহীতে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সুপার বলেছে স্থগিত আপনি কিভাবে বলেন শহরে পরিক্ষা হচ্ছে প্রশ্ন করা হলো উত্তরে বলেন আমি ব্যস্ত আছি পরে কথা বলছি। একথা শোনার পর পুনরায় সুপার মুনসুরেকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris