শনিবার

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে মাঠ কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ

Paris
Update : শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩

এফএনএস
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনের অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থিত হয়ে এমন নির্দেশনা দেয় পুরো কমিশন। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) আমাদের মাসিক সমন্বয় ছিল। ইসির সব কর্মকর্তাদের এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে বসেছিলাম। নির্বাচন কমিশনাররা আজ থাকার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন এবং তারা (প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পুরো কমিশন) ছিলেন। ইসি সচিব বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন, যেন তাদের ঘোষিত রোডম্যাপ থেকে আমরা পিছিয়ে না পরি। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনের আপ টু বটম, মালামাল ক্রয় থেকে শুরু করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন পর্যন্ত সব বিষয়ের ওপর তারা রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্দেশনা দিয়েছেন যে, কোন কোন বিষয়ে আমরা পিছিয়ে আছি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায় থেকে আমরা জানতে চেয়েছি, ব্যালট বক্সগুলো কোথায় আছে, কীভাবে আছে, সেগুলোকে কীভাবে যাচাই করে তারা আমাদের রিপোর্ট দেবে এসব বিষয়। এগুলো বাস্তবিক অর্থেই ইসির অভ্যন্তরীণ কাজ। আরপিও নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আরপিও নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। সেখানে মন্ত্রিসভা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। নীতিগত অনুমোদন বলতে যে প্রস্তাবনাগুলো আছে সেগুলো আইন মন্ত্রণালয় আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখবে। তারপর পরবর্তী সভায় উত্থাপন করবে। কোনো অংশ বাতিল বা কোনোটা রাখা হবে সেটা কিন্তু নীতিগত অনুমোদনের সময় সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় না। মিডিয়ায় দুটি বিষয়ে ভিন্ন রকম প্রতিবেদন এসেছে। তিনি আরও বলেন, যদি কোথাও গুরুতর অনিয়মের কারণে নির্বাচন স্থগিত করতে হয়, নির্বাচন কমিশন করতে পারেন, এটা আগে থেকে বলা আছে। এখন বলা হয়েছে, কোনো একটি ফলাফল তৈরির সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা বিবরণীটা কমিশনে পাঠাবেন, তখন যদি গুরুতর কোনো অনিয়ম হয়, তখন নির্বাচন কমিশন যথাযথ তদন্ত করবে। তদন্তে যদি মনে হয় ফলাফল করার কথা তাহলে তারা প্রকাশ করবে, অন্যথায় ওই গুরুতর অপরাধে ফলাফল সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি, তখন তারা বাতিল করতে পারবেন। এখানে গেজেট প্রজ্ঞাপনের পরে বাতিল কথাটা কিন্তু না। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে বলেছেন, চলতি বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যেই সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, নতুন দল নিবন্ধন ও আইন সংশোধনের কাজে হাত দিয়েছে ইসি। বড় এ কাজগুলোর প্রতিটিই প্রায় মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলো মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই সম্পন্ন করবে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রশিক্ষণের বড় কাজটিও ইতোমধ্যে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris