বৃহস্পতিবার

২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বেপরোয়া তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট!

Paris
Update : বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩

এফএনএস
বাইরের চাপে তাইওয়ান বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ রাখা বন্ধ করবে না, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন এ কথা বলেন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সাই নিউ ইয়র্কে বিরতি দিয়ে গুয়াতেমালা ও বেলিজে যাবেন; এরপর ফেরার পথে লস এঞ্জেলেসে থামবেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকাকালে তার সঙ্গে ম্যাককার্থির বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির সঙ্গে বৈঠক করলে বেইজিং পাল্টা পদক্ষেপ নেবে বলে জানায়। এমন হুঁশিয়ারির পর চীনের উদ্দেশ্যে গতকাল বুধবার তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট এই বার্তা দেন। স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ মনে করা চীন বারবারই মার্কিন রাজনীতিকদেরকে সাইয়ের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে হুঁশিয়ার করে আসছে। এ ধরনের বৈঠক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় পরিচালিত তাইওয়ানের বিচ্ছিন্ন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার আকাক্সক্ষাকে সমর্থন দেয় বলে মনে করে তারা। গত বছরের অগাস্টে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর দ্বীপটির আশপাশে ব্যাপক সামরিক মহড়া করেছিল চীন। এবার সাই দেশের বাইরে থাকাকালে চীন কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেয় কিনা, তার ওপর নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী। চীনের নাম না নিয়ে তাইওয়ানের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বলেন সাই, “বাইরের চাপ আমাদেরকে বহির্বিশ্বের কাছে যাওয়ার সংকল্পকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। আমরা স্থির ও আত্মবিশ্বাসী, আমরা কিছু করবোও না, উসকানিও দেব না। তাইওয়ান দৃঢ়ভাবে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পথে হাঁটবে ও বিশ্বের কাছে যাবে। এই পথ রুক্ষ হলেও তাইওয়ান একা নয়।” তার বিমান তাইওয়ান ছাড়ার কিছুক্ষণ পর বেইজিংয়ে চীনের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তরের মুখপাত্র ঝু ফেংলিয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যে বিরতি বা ‘ট্রানজিট’ নেবেন সাই, সেটা কেবল বিমানবন্দরে বা হোটেলে পরের বিমানের জন্য অপেক্ষায় কাটবে, ব্যাপারটা এমন নয়। আদতে এই সময়ে তিনি মার্কিন কর্মকর্তা ও আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সাই এমন এক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ‘ট্রানজিট’ নিচ্ছেন, যখন ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যকার সম্পর্ক ১৯৭৯ সালে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক্। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের দূরত্বের ক্ষেত্রে তাইওয়ান ইস্যুই প্রধান বলে মনে করেন বেশিরভাগ পর্যবেক্ষক। ওয়াশিংটন এক চীন নীতি মানলেও তাইপের সঙ্গে তাদের অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। দ্বীপটির সুরক্ষায় সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিজেদের আইনেই বাধ্য। ওয়াশিংটন বলছে, বিভিন্ন দেশে যাওয়ার পথে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্রে বিরতি নেওয়ার ঘটনা আগেও দেখা গেছে, এখন এই ‘ট্রানজিটকে’ কাজে লাগিয়ে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে কোনো আগ্রাসী পদক্ষেপ নেওয়া চীনের উচিত হবে না। চলতি সপ্তাহে তাইওয়ান ইস্যুতে রোববার হন্ডুরাস আনুষ্ঠানিকভাবে তাইপের হাত ছেড়ে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এতে তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রাখা দেশের সংখ্যা কমে ১৩-তে নেমে এসেছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris