শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পবায় পুকুর সংস্কারে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় থানায় অভিযোগ

Paris
Update : বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩

পবা প্রতিনিধি
রাজশাহীর পবার হুজুরীপাড়ায় পুকুর সংস্কারে স্থানীয়দের চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দেবেরপাড়া ও হুজুরীপাড়া গ্রামের মঠের বিলে। জানা যায়, পবা উপজেলার দেবেরপাড়া গ্রামের মৃত নুরু মন্ডলের ছেলে বেলায়েত হোসেন, আছের আলীর ছেলে জিল্লুর রহমান, মৃত মেছের আলীর ছেলে তমিজ উদ্দিন এবং ধর্মহাটা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মামুন হোসেনসহ কয়েকজনের পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি। সাহাপুর মৌজার যার রকম পুকুর, এসএ খতিয়ান নং ১১৮, দাগনং ১৮৮, আরএস খতিয়ান নং ১১৫, দাগনং ২২০ এর এক একর ২০ শতাংশ। পুকুরটি অনেকদিন সংস্কার না করায় চারপাশের পাড় ও পাড় সংলগ্ন সরকারি রাস্তা ভেঙ্গে যায়। পুকুরটি অনেকটা ভরাট হয়ে যাওয়ায় নাব্যতা হারায়। এতে পুকুরটি মাছ চায়ের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। প্রেক্ষিতে ভোগ দখলদারগণ পুকুরটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন। এছাড়াও পাশে সরকারি রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরে চলে যায়। এতে জনসাধারণের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। পুকুর ও রাস্তা সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়। এরপর কয়েকদিন যাবৎ পুকুরটি সংস্কার করা হচ্ছে। পুকুর মালিক পক্ষের মুরসালিন ইসলাম রতন জানান, “ঘটনার দিন সকালে হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া গ্রামের হেলাল এর ছেলে ফরিদ এসে বলে, পুকুর কে করতে দিল, কার হুকুমে করছে, কিভাবে হচ্ছে- এমনটা বলতে থাকে। আমি বলি- আমার নানা, বাপ, দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি। বাপ দাদার আমল থেকেই পুকুর। সরকারি রাস্তা ভেঙ্গে গেছে মানুষজন যেতে পারছে না। এগুলো আমরা ঠিক করছি মানুষজন যেন যেতে পারে। পাশের জমির মালিকগণও অভিযোগ করছে পুকুর পাড় ঠিক করেন, তাদের জমি ভেঙ্গে পুকুরে চলে যাচ্ছে। তাই আমরা অংশীদার সকলে মিলে এটা সংস্কার করছি। কিন্তু ফরিদ পুকুর সংস্কার কাজে সাংবাদিক পরিচয়ে বাধা দিয়ে চাঁদা দাবি করেন, বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দেন। এসময় চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়”। তিনি আরো জানান, ‘পরবর্তীতে দারুশা হাটপাড়া এলাকার লুৎফর এর ছেলে অনলাইন সাংবাদিক পরিচয়ে আতিক উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মিমাংসা করতে পুকুর মালিক পক্ষকে চাপ প্রয়োগ করে। মালিক পক্ষ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা পুকুর মালিকদের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে এই মর্মে থানায় অভিযোগ করেন। হুজুরীপাড়া গ্রামের সাইদুর রহমান ও জিয়ারত নামে এক কৃষক বলেন এই পুকুর অনেক দিন থেকে আছে। এরা মাটি কেটে পুকুর সংস্কার করছে। পুকুরের চারিদিকের পাড় বাধাই করছে। এই পুকুরের মাটি কেটেই তা এখানকার পাড় বাধার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। পুকুর মালিকগণ এখন হয়রানি ও আশংকার মধ্যে রয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে আরএমপি কর্ণহার থানা অফিসার্স ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন বলেন, খননস্থানটি একটি পুরাতন পুকুর। তবে সাংবাদিকদের সাথে খননকারিরা খারাপ ব্যবহার করায় শেখ ফরিদ নামের একজন তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছে।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris