শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাগমারায় সেই কলেজ শিক্ষক আনোয়ারুলকে কারাগারে প্রেরণ

Paris
Update : বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

মচমইল থেকে সংবাদদাতা
রাজশাহীর বাগমারায় শ্রীপুর রামনগর ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস,এম, আনোয়ারুল ইসলাম এখন জেল হাজতে। জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর শ্রীপুর রামনগর ডিগ্রী কলেজের মেধাবী ছাত্রী আনিকা হাট গাঙ্গোপাড়া বাজার থেকে প্রাইভেট শেষে বাসায় ফিরছিলেন সে সময় তার পথরোধ করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিয়ে লাঞ্ছিত করে ওই শিক্ষক।
বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস,এম, আনোয়ারুল ইসলামের লাঞ্ছনার আপমান সইতে না পেরে আত্মহননের উদ্দেশ্যে হারপিক পান করেন একই কলেজের মেধাবী ছাত্রী আনিকা (১৮)। ওই ঘটনায় আনিকার পিতা বাদী হয়ে প্রথমে বাগমারা থানায় সহকারী অধ্যাপক এস,এম, আনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশের তদন্তে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা না হওয়ায় ১১ জানুয়ারি রাজশাহীর মহামান্য আদালতের নারী ও শিশু বিশেষ দমন ট্রাইবুনাল-২ এ, এস,এম, আনোয়ারুল ইসলামকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বজলুর রশিদ। আদালতে দায়েরকৃত ওই মামলায় মঙ্গলবার জামিন আবেদন করেন শিক্ষক। ওই ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাঃ হাসানুজ্জামান তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে অর্থাভাবে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে আনিকাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছে আনিকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস,এম, আনোয়ারুল ইসলাম কলেজে একাধিক বার ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। শিক্ষকের দ্বারা শ্লীলতাহানির ঘটনায় আত্মহত্যার চেষ্টা করে আনিকা। ঘটনার পর মেয়ের চিকিৎসায় সর্বস্ব শেষ করেছে ভূমিহীন পিতা। অর্থ না থাকায় ঠিক মতো চিকিৎসা করাতে পারছেন না বজলুর রশিদ। মৃত্যুযন্ত্রণায় এখন বাড়িতেই কাতরাচ্ছেন আনিকা। শিক্ষকের এমন কান্ডের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, ঘটনার কয়েক দিন পর এলাকাবাসী ঐ শিক্ষক ও মেয়ের বাবাকে নিয়ে মিমাংসা জন্য বসেছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় ছাত্রীর চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার বহণ করবে ওই শিক্ষক। এ সময় ছাত্রীর পিতাকে ৫ হাজার টাকা দিলেও আর কোন টাকা দিবেন না বলে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ওই শিক্ষক। শ্রীপুর রামনগর ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস,এম, আনোয়ারুল ইসলাম এর আগেও অনেক ছাত্রীর সাথে অসামাজিক কার্যকলাপ করেছেন বলেও জানা গেছে। মেয়ের উপরে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতনের সুবিচারের দাবী করেছেন বজলুর রশিদ। এ রকম ঘটনা কেউ যেন ঘটাতে না পারে সে জন্য দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris