মঙ্গলবার

২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে এভারগ্রীণ’র দখল করে নির্মাণাধীণ কাউন্টার উচ্ছেদ করলো আরডিএ যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার করা হলে বিশ্ব রক্ষা পেতো : প্রধানমন্ত্রী শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানির তীব্র সংকট, ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা নিয়ামতপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড রাজশাহীতে নারীর মোবাইল ফোন-ব্যাগ ছিনতাই, তিন ছিনতাইকারী গ্রেফতার রাসিককে সুদৃঢ় আর্থিক ভিত্তির উপর দাঁড় করতে চাই : মেয়র কাতারের আমির আসছেন আজ, সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার দখলের সুযোগ বালিশকাণ্ডের সেই প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছে রাবির হল, অনিয়মের অভিযোগে দুদকের হানা/৩ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী

চাল আমদানির লাগাম টেনে বাজার থেকে অতিরিক্ত মুনাফা লুফে নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা

Paris
Update : বুধবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৩

আমদানির লাগাম টেনে বাজার থেকে অতিরিক্ত মুনাফা লুফে নিচ্ছে চাল ব্যবসায়ীরা। আর ওই কারণেই কয়েক দফায় সময় বাড়িয়েও বেসরকারিভাবে চাল আমদানির পরিমাণ বাড়ানো যায়নি। সেক্ষেত্রে চাল আমদানিকারকরা ডলার সংকটের কারণে প্রয়োজনমাফিক এলসি (ঋণপত্র) খুলতে না পারার অজুহাত দেখাচ্ছে। ফলে চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। বেসরকারি ব্যবসায়ীদের হাতে চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রার বেশিরভাগ কোটা। আর দেশের প্রভাবশালী ওই চাল সিন্ডিকেটের কারণে কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলেও ভরা মৌসুমে ঠিকই চালের বাজার চড়া থাকছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।-এফএনএস
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানির উৎস দেশও সীমিত হয়ে গেছে। অনেক দেশই এখন চাল রপ্তানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। দেশের আমদানিতে তার প্রভাব পড়েছে। প্রায় ৩ মাস আগে বেসরকারি আমদানিকারকদের ১৪ লাখ ৯০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তুমাত্র ৪ লাখ ১০ হাজার টন চাল দেশে এসেছে। আর এখনো দেশে এসে পৌঁছায়নি বাকি ১০ লাখ ৮০ হাজার টন চাল। তবে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ওই চাল দেশে এসে পৌঁছাবে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আশাবাদী হলেও বাস্তবে ওই চাল যথাসময়ে আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। মূলত চাল নিয়ে চালাকি করে অতিরিক্ত মুনাফা আদায়ের ফাঁদ পাতা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, খাদ্য সংকটের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ৩০ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত করতে চায়। তবে সরকারি খাদ্য নিরাপত্তা দেশের সব মানুষের জন্য না। মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষের খাদ্য নিরাপত্তায় কাজ করে। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষ, বস্তিবাসী, জেলে পরিবার, খোলাবাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস), ন্যায্যমূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ, ভিজিডি ও ভিজিএফ কর্মসূচিতে খাদ্যশস্য সরবরাহ করে। তাছাড়া সরকার বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের মাসিক রেশন দিয়ে থাকে। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু হঠাৎ করে পরিবহণ ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা খাদ্যশস্য আমদানি করতে চাচ্ছে না। আর বাজারে খবর ছড়িয়ে পড়ছে ডলার সংকটের কারণে চাল আমদানি হচ্ছে না। তবে একমাত্র ডলার সংকটেই আমদানি কমেছে ওই ধরনের প্রচার-প্রচারণা একেবারেই ভিত্তিহীন। তবে গত বছর বিশ্বজুড়ে খাদ্য উৎপাদন কমেছে। ফলে খাদ্যশস্য পাওয়ার উৎস কমে গেছে। কোনো দেশ নিজ দেশের মানুষকে অভুক্ত রেখে রপ্তানি না করাই স্বাভাবিক। যার ফলে চাল গম আমদানি কমছে।
সূত্র আরো জানায়, বেসরকারি উদ্যোগে চাল আমদানির পরে এবার সরকারের পক্ষ থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকার ভারত ও সিঙ্গাপুর থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই চাল কিনতে সরকারের মোট ব্যয় হবে ৪২৩ কোটি ৭৬ লাখ দুই হাজার ৭৫০ টাকা। প্রতিকেজি চালের দর পড়বে ৪২ টাকা ৬৮ পয়সা। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ওই চাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর ওই চাল কিনবে। ওই ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল কিনতে মোট খরচ হবে ২১০ কোটি ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা। তাছঅড়া সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ওই চালও খাদ্য অধিদপ্তর আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কিনছে। সেজন্য ব্যয় হবে ২১৩ কোটি ৪০ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris