শুক্রবার

১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে আরডিএ’র জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ! বাগমারায় এক স্কুলের সভাপতি ও সহকারী প্রধান শিক্ষক এলাকাছাড়া! বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল জাতীয় চার নেতা কখনো মৃত্যু ভয় করেননি : লিটন প্রেমিককে কুপিয়ে জখম করল প্রেমিকা! গোদাগাড়ীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আরো ২ আসামি গ্রেপ্তার এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের সরে দাঁড়াতে নির্দেশ সেনাবাহিনীতে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া তিন প্রতারক রাজশাহীতে গ্রেফতার পুঠিয়ায় শাশুড়িকে হত্যা করে লাশ গুম করেছিলেন পুত্রবধূ! রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে আরডিএ’র জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ! সারাদেশে উপজেলা নির্বাচনে ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে চিন্তিত প্রার্থীরা

বাত রোগে ভোগেন দেশের ২৬ ভাগ মানুষ

Paris
Update : রবিবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৩

বাত রোগ মানুষের জীবনের সঙ্গে অনেকটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যে কোনো বয়সে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। দেশে মোট জনগোষ্ঠীর অন্তত ২৬ শতাংশ মানুষ শরীরের কোনো না কোনো অঙ্গে বাত ব্যথায় ভোগেন। বাত ব্যথা মেডিসিন বিভাগের তথ্য মতে, দেশে মোট ৬৪৪ ধরনের রিউমাটোলজি বা বাত রোগ রয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনভেনশন হলে বাত রোগীদের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান বাতরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো.নজরুল ইসলাম। বাত রোগীদের নিয়ে রিসার্চের তথ্য-উপাত্তের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩৫ লাখ নারী-পুরুষ হাড়ক্ষয় রোগে, প্রায় ১৭ লাখ মানুষ রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, প্রায় ৮০ লাভ মানুষ হাঁটু ব্যথা বাতে ও প্রায় ১৩ লাখ মানুষ মাজা ব্যথা বা স্পনডাইলো আর্থ্রাইটিস রোগে ভুগছেন। ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, এসব রোগের মধ্যে বেশি প্রকোপের রোগগুলো হলো- অস্ট্রিও আর্থ্রাইটিস, অস্ট্রিপোরোসিস বা হাড়ক্ষয় রোগ, মাজা ব্যথা বাত বা স্পনডাইলো আর্থ্রাইটিস, এসএলই বা লুপুস। এ ছাড়া সেপটিক আর্থ্রাইটিস, রিয়্যাক্টিভ আর্থ্রাইটিসেও ভুগছেন দেশের অনেক মানুষ। বাত রোগে আক্রান্তদের কষ্টের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আক্রান্তের হার থেকে দেখা যায়, বাতের রোগগুলো অনেক মানুষকে কষ্টে রাখে। রোগগুলোর যথার্থ চিকিৎসার অভাবে কর্মক্ষম মানুষ যেমন অক্ষম হন, তেমনি পরিবারগুলোও দরিদ্র হতে থাকে। তাই সবার আগে জরুরি যথাসময়ে রোগ নির্ণয় ও উপযুক্ত চিকিৎসা। তবে বাস্তবতা হলো- আমরা নিজেরা সচেতন নই। পাশাপাশি রোগী ও তাদের স্বজনদের চিকিৎসার সামর্থ্যরে অভাব রয়েছে। বাত রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নিয়মতান্ত্রিক জীবন, সুষম খাদ্যগ্রহণ, প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন নেওয়া, নিয়মিত প্রয়োজনীয় ব্যায়াম করা, জীবন-যাপনে চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলা ও নিয়ম করে ওষুধ সেবন করা জরুরি। কারণ বাতের রোগের চিকিৎসায় ব্যথা নাশকের প্রয়োজন আছে। কিন্তু তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে ও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খেলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ডায়াবেটিকস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো বাতের রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, বাতের রোগগুলোও চিকিৎসায় ভালো থাকে। তাই যতদিন যেমন করে ওষুধ খেতে হবে তা চালিয়ে যেতে হবে। যথাযথ চিকিৎসার অভাবে পঙ্গু হয়ে যাওয়া কারও কাম্য নয়। বাত রোগের সুচিকিৎসার জন্য আরও অনেক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ও বাতরোগ বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন বলে জানান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। একই সঙ্গে সরকারের পাশাপাশি বাত রোগীদের জন্য বেসরকারি উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি বলেও মনে করেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে দিন দিন চিকিৎসা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হচ্ছে। অনেক জটিল ও কঠিন রোগের বিশ্বমানের চিকিৎসা দিচ্ছেন আমাদের চিকিৎসকরা। যা সত্যি আমাদের সাহস যোগায়। আগামী দিনগুলোতে চিকিৎসকদের আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার গবেষণা করার জোর তাগিদ দিচ্ছেন এবং গবেষণার জন্য অর্থ বরাদ্দও দিচ্ছেন। কারণ গবেষণা থেকেই আসল চিত্র জানা যায়। তিনি বলেন, আজ যাদের জন্য এ আয়োজন, সেই বাত রোগে আক্রান্তদেরও বাস্তবচিত্র উঠে এসেছে গবেষণায়। তাতে মনে হচ্ছে, আমাদের অনেক কিছু করণীয় আছে। যদিও সরকারের অগ্রাধিকারের মধ্যে স্বাস্থ্যখাত অন্যতম। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন মানুষ গ্রামে বসে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। নতুন নতুন অনেক চিকিৎসক, নার্স নিয়োগ হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের জন্য আন্তর্জাতিক অর্জনও রয়েছে। এসবের নেপথ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও নির্দেশনা। অনুষ্ঠানে রোগীরা তাদের বাত ব্যথার কষ্টের কথাগুলো তুলে ধরেন। এ সময় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বাত রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকারের উপায় নিয়ে সায়েন্টিফিক প্রেজেন্টেশন দেওয়া হয়। অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সাইন্সেসের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক সুরাইয়া বেগম, সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম কামাল হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, ব্র্যাকের হেলথ এন্টারপ্রাইজের প্রধান ব্রি. জেনারেল (অব.) ডা. তৌফিকুল হাসান সিদ্দিকী প্রমুখ।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris